সেই কবে ‘জ্যোতির্ময় রবি ও কালো মেঘের দল’
নামের একটি নাতিবৃহৎ বই হাতে এসেছিল—
পাঠ শেষে এতটাই নির্বাক আর বাঙালি জিবের বিদ্বেষ-বিষের লালায়
এতটাই আক্রান্ত হয়েছিলাম, কেন? বইটির শিরোনামই বলে দেয়;
‘জ্যোতির্ময় রবি’কে সারাটা জীবনে কতটা ঘাত-প্রতিঘাত
সইতে হয়েছিল—সত্যি বলতে কি, রবি যখন
আপন জ্যোতিতে দেদীপ্যমান
তখন স্বদেশে তার সম্পর্কে কটু-কাটব্য,
এমনকি ব্যক্তিগত শোক-দুঃখের
মাঝেও অনবরত তাকে একতরফা নির্দয় খিস্তিখেউর
তর্জা শুনে যেতে হচ্ছে
এমনকি কুৎসিতভাবে ঠাকুরবাড়ির লক্কা পায়রাটি
লম্বা লম্বা ঠ্যাং ফেলে
বাড়ির কাছে বেপাড়ায় তার আনাগোনা নিয়েও বহু ব্যাঁকা কথা
খরচ করতে কসুর করেনি
সবচেয়ে মজার, হেমচন্দ্রের ‘সিক্ত বসনা সুন্দরী’ চিত্রখানার ক্যাপশনে
রবিঠাকুরের অনিন্দ্যসুন্দর সব গানের কলি বসাতেও
তাদের হাত কাঁপেনি
দেশে বিদেশে রবীন্দ্রনাথ যখন সুনাম সুখ্যাতিতে হিমালয়স্পর্শী
তখনো কালো মেঘের দলনায়ক বাংলার বাচস্পতি ‘সাহিত্য’ সম্পাদক সুরেশ সমাজপতিদের কলমে কদর্য কালির ফোয়ারা বইছে;
—শেষমেশ অন্তিমে বুদ্ধদেব বসুর মহাপ্রয়াণ দিবস ‘বাইশে শ্রাবণ’
শীর্ষক রচনাটি শ্রাবণের বারিধারা ঝরিছে বিরামহারাকে হার মানিয়ে জ্বলজ্যান্ত আমাদের রবীন্দ্রনাথ।
[রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে লেখা কবিতা ‘ফুলতলি থেকে জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি ঘিরে অনেক ব্যথা-বেদনা’ প্রকাশিত হয় ১৫ জুলাই সাহিত্য সাময়িকীতে। ‘এই শ্রাবণের বুকের ভিতর আগুন আছে’ কবিতাটি সেই ধারাবহিকতায় লেখা কবির সর্বশেষ রচনা।]
Leave a Reply