আমার সোনা, চাঁদের কণা, ভুবনে তুলনা নাই রে—–
শত বরষ পরমায়ু হোক, ঘুচুক যতো বালাই রে |
প্রথম বরষে আলো করে রয় মানণির কোলে রে,
মিটি মিটি হাসে গোপাল আমার মায়ের হিয়া দোলে রে,
কভু আনন্দে আপন মনে রাঙা হাতে দেয় তাই রে ||
দু’বছরে যবে পা দেয় খোকন আধো আধো কথা কয় রে,
ফেলিয়া পালায় দুধের বাটি তাই কি ছুঁতে ভয় রে,
সারাটি বেলা দস্যি ছেলে, পিছে পিছে ধাই রে ||
তৃতীয় বরষে সোনামণি মোর বলে, “মাগো কাঁদিস নে’,
কাঠের ঘোড়ার পঙ্খীরাজে চড়ে দিগ্বিজয়ে যায় সে—–
মার আঁখিতারা ধ্রুবতারা হয়ে জেগে থাকে সদাই রে ||
পঞ্চম বরষে বুদ্ধি লয়ে বাবু পাঠশালাতে যায় রে
মার স্নেহময় আঁখি দুটি শুধু ফিরে ফিরে চায় রে——
মা ভাবে মনে, এত ছেলে আছে এমন কোনোটি আর নাই রে ||
দিনে দিনে সোনা চাঁদের সমান নিতি বড়ো হয়ে ওঠে রে,
পুষ্পকলিতে মধু বসন্তে তাল মেনে যেন ফোটেরে—–
প্রজাপতি আসে রঙিন পাখায়, দুয়ারে বাজে সানাই রে ||
একদিন খোকা মালা চন্দনে বরবেশে সে যে যায় রে,
উলু দেয় মা বধূবরণে, শঙ্খ লয়ে বাজায় রে—–
মায়ের পরানে এত সুখ বুঝি রাখিবার নাহি ঠাঁই রে ||
কথা – প্রণব রায়, সুর – নিতাই ঘটক, কণ্ঠ – প্রতিমা বন্দ্যোপাধ্যায়
পূর্ববর্তী:
« আমার সমাধিতে গোলাপের ফুল দিও
« আমার সমাধিতে গোলাপের ফুল দিও
পরবর্তী:
আমায় একটু জায়গা দাও মায়ের মন্দিরে বসি »
আমায় একটু জায়গা দাও মায়ের মন্দিরে বসি »
Leave a Reply