সাবেকি থেকে আছে কতই বাংলার ঐতিহ্য;
বিয়ের সময় মেয়ের সাথে দিতে সম্পদ-প্রাচুর্য।
জ্ঞানী বলেন এটা অর্থ নয়কো,
মেয়ের ভবিষ্যত সুখ আবরন;
কেউ জানে কী, তা দিয়ে হয় ছেলের বিয়ের আয়োজন।
পণের মাঝে দাবি থাকে,
ছেলের দামি মোটরযান;
পণের জন্যেই হারাতে হয় শেষে, মেয়েদের ফুল সুলভ প্রাণ।
পণের এই পেট মোটা কলসি, ভরতে যারা নামে;
তাদের কত কি যে হারাতে হয়, কেউ কী তা জানে?
পণের লালসা যদি না মেটে শাশুড়ি ও শ্বশুর;
কন্যা-রূপ বধূকে তারা অত্যাচার করতে করেন নাকো কসুর।
পণের জন্যে যে সকল মহাপুরুষ করেন বধূ বহিষ্কার;
হয়তো বা,তাদের হাতেই তুলে দিতে হত বিখ্যাত অস্কার!
যে শ্বশুর-শাশুড়ি বধূর কোতল করেন জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে;
হয়তো বা আমাদের জীবন ধন্য হত, তাদের দৈবাসনে বসিয়ে।
পিতা ভাবেন, বেশি পণ দিলে কন্যা আমার থাকবে আনন্দ রসতলে;
তারা আবার জানেন কী তা, মেয়ের হাত দিচ্ছেন কসাই এর হাতে তুলে।
পূর্ববর্তী:
« নিঃসঙ্গ কবি, নির্জন রেস্তোরাঁ – সৈয়দ শামসুল হক
« নিঃসঙ্গ কবি, নির্জন রেস্তোরাঁ – সৈয়দ শামসুল হক
পরবর্তী:
পথেও দেখি না – রেজা সেলিম »
পথেও দেখি না – রেজা সেলিম »
Leave a Reply