সোনার মান গেল রে ভাই,
বেঙ্গা এক পিতলের কাছে।
সাল সাল পোটুকের ফের
কোষ্টার বানাত দেশ জুড়েছে।
বাজিল কলির আরতি
পেঁচ প’লো ভাই মানীর প্রতি
ময়ূরের নৃত্য দেখে পেঁচায়
পেখম ধরতে বসেছে।
শালগ্রামকে করিয়ে নোড়া
ভূতের ঘরে ঘন্টা নাড়া
কলির তো এমনি দাঁড়া
স্থূল কাজে সব ভুল পড়েছে।
সবায় কেনে পিতল দানা
জহুরীর তো মূল হল না
লালন কয়, গেল জানা
চটকে জগত মেতেছে।।
———–
লালন ফকির : কবি ও কাব্য, পৃ. ২৫২; লালন-গীতিকা, পৃ. ২৯৯।
গানটির সাংকেতিক ভাষার লিপিচাতুর্য ও কাব্যিক গুণ লক্ষণীয়। ময়ূরের নৃত্য দেখে পেঁচার পেখম ধরা, শালগ্রামকে নোড়া করে ভূতের ঘরে ঘন্টা নাড়া প্রচলিত প্রবাদ-বাক্য। গানে এগুলো প্রয়োগ করে ভাবে ভাষায় গভীরতা ও উৎকর্ষ সাধন করা হয়েছে। লালনের মতো স্বভাব কবির পক্ষেই তা সম্ভব।
Leave a Reply