সবে বলে লালন ফকির হিন্দু কি যবন।
লালন বলে আমি আমার না জানি সন্ধানী
একই ঘাটে আসা যাওয়া
একই পাটনী দিচ্ছে খেওয়া
কেউ খায় না কারও ছোঁয়া
বিভিন্ন জল কে কোথায় পান
বেদ-পুরাণে করেছে জারি
যবনের সাঁই, হিন্দুর হরি
লালন বলে বুঝতে নারি
দুই রূপ সৃষ্টি করলেন কি তার প্রমাণ।
বিবিদের নাই মুসলমানী
পৈতা যার নাই সেও তো বামনী
বোঝ রে ভাই দিব্যজ্ঞানী
লালন তেমনি খাতনার জাত একখানা৷।
————
লালন শাহ ও তাঁর গান, পৃ. ৭২
‘মহাত্মা লালন ফকির’ গ্রন্থে সঞ্চারী অনুপস্থিত; সমাপ্তিসূচক ভনিতার চরণটিও নেই। অন্তরার পাঠে সামান্য ভিন্নতা আছে :
এক ঘাটেতে আসা যাওয়া
একই পাটনী দিচ্ছে খেওয়া
তবে কেউ খায় না কারও ছোঁয়া
ভিন্ন জল কোথাতে পান– পৃ. ১৯
Leave a Reply