একবার জগন্নাথে দেখ রে যেয়ে
জাত কেমনে রাখো বাঁচিয়ে।
চণ্ডালে আনিলে অন্ন,
ব্রাহ্মণে তাই খায় চেয়ে।
জোলা ছিল কবীর দাস
তার তোড়ানি বার মাস
উঠছে উথলিয়ে।
সেই তোড়ানি খায় যে ধনী
সেই আশে দরশন পেয়ে।
ধন্য প্রভু জগন্নাথ
চায় না রে সে জাত-অজাত
ভক্তের অধীন সে।
জাত বিচারী দুরাচারী
যায় তারা সব দূর হয়ে।
জাত না গেলে পাইনে হরি
কি ছার জাতের গৌরব করি
ছুঁসনে বলিয়ে।
লালন বলে, জাত হাতে পেলে
পুড়াতাম আগুন দিয়ে।।
————
লালন ফকির : কবি ও ব্য, পৃ. ১৭২; লালন-গীতিকা, পৃ. ৩০-০৮; বাংলার বাউল ও বাউল গান, পৃ. ৯৬ (সঞ্চারীর ১ম চরণে ‘ধন্য প্রভু’ স্থলে ‘ধর্ম-প্রভু’ কথান্তর আছে।) সরলাদেবী ‘ভারতী’র ভাদ্র, ১৩০২ সংখ্যায় ‘লালন ফকির ও গগন’ প্রবন্ধে গানটি উদ্ধৃত করেন। এখানে ধুয়ার ১ম চরণ জগন্নাথে দেখ রে যে “এবং সঞ্চারীর ৪র্থ চরণ “এবার জাত বিচারী দুরাচারী”– রূপে সংকলিত হয়েছে।
Leave a Reply