তোরা কেও যাসনে ও পাগলের কাছে।
তিন পাগলের(১) হল মেলা নদে এসো
কি এক পাগলাম করে
কোল দেয় জাত অজাতেরে
দৌড়িয়ে যেয়ে।
ও তার নাই জেতের বোল, এমন পাগল কে দেখেছে।
একটা নারকোলের মালা
তাতে জল খেয়ে ফেলা
করঙ্গ সে।
আবার হরি বলে পড়ছে ঢলে ধূলার মাঝে।
দেখতে যে যাবি।
সেই তো পাগল হবি
বুঝবি শেষে।
ছেড়ে তার ঘর-দুয়ার ফিরবি নেচে।
পাগলের নামটি কেমন
বলিতে অধীন লালন
হয় তরাসে।
চৈতে নিতে অদ্বে(২) পাগল নাম ধরেছে।।
————
লালন ফকির : কবি ও কাব্য, পৃ. ১১৩-১৪
কথান্তর :
তোরা কেউ যাসনে ও পাগলের কাছে।
তিন পাগলের হল মেলা নদে এসো
দেখতে যে যাবি পাগল
সেই তো হবি পাগল
বুঝবি শেষে।
ফেলে তার ঘর-দুয়ার ফিরবি নেচে।
একটি নারিকেলের মালা
তাইতে জল ভোলা ফেলা
করঙ্গ সে।
হরিবোলে পড়ছে ঢলে ধূলার মাঝে।
পাগলের নামটি এমন
শুনিতে অধীন লালন
চৈতে নিতে অদ্বে পাগল নাম ধরেছে।।
শ্রীবসন্তকুমার পাল, ফকির লালন সাহ, প্রবাসী, বৈশাখ ১৩৩৫
হারামণি, ৭ম খণ্ডে গানটি কিছু কথান্তরসহ সংকলিত হয়েছে।– পৃ. ১৫
১. তিন পাগল– চৈতন্যদেব, নিত্যানন্দ দাস ও অদ্বৈত আচার্য। তারা কৃষ্ণ তথা ভগবৎ-প্রেমে বিভোর হয়ে আত্মহারা হয়ে যেতেন, এজন্য তাঁদের পাগল বলা হয়েছে। বাউলরা পাগলপারা হয়ে মনের মানুষের সন্ধান করে। লক্ষ্য তাকে একাত্মভাবে পাওয়া বা তাঁর সাথে মিলিত হওয়া।
২. চৈতে– শ্রীচৈতন্যদেব; নিতে– নিত্যানন্দ দাস; অদ্রে– অদ্বৈত আচার্য।
Leave a Reply