ও মা যশোদা, তোর কৃষ্ণ ধনকে
দেখো গোষ্ঠে যায়।
সব রাখালে গেছে গোষ্ঠে
বাকি কেবল কানাই বলাই।
উঠ রে ভাই নন্দের কানু
বাথানেতে বাঁধা ধেনু
গগনে উঠেছে ভানু
আর তো নিশি নাই।
কেন ঘুমায়ে র’লি মায়ের কোলে
এখনও ঘুম ভাঙ্গে নাই।
গো-চরাণে গোষ্ঠের পথে
কষ্ট নাই মা গোষ্ঠে যেতে
আমরা সবে স্কন্ধে করে
গোপাল লয়ে যাই।
তোর গোপালের ক্ষুধা হলে
দণ্ডে দণ্ডে ননী খাওয়াই।
আমরা যত রাখালগণে
ফিরি সবে বনে বনে
মুনিগণের দ্বারে দ্বারে
কত ভিক্ষা চাই।
ফল আমরা আগে দেখি খেয়ে
মিঠা হলে তোর গোপালকে খাওয়াই।।
————
বাউল কবি লালন শাহ, পৃ. ৩১৩
স্তবক-বিন্যাসে চরণ-সংখ্যার হাস-বৃদ্ধি করে লালন গানের সুরে ও ছন্দে বৈচিত্র্য সৃষ্টি করেন। এ গানে ছোট বড় ৬টি চরণ দ্বারা স্তবককে প্রলম্বিত করা হয়েছে। এর ছন্দ-রীতিটি এভাবে দেখানো যায় : খখখক গক।
Leave a Reply