ও গো ব্রজলীলে এ কি লীলে।
কৃষ্ণ গোপিকারে জানালে৷
যারে নিজ শক্তিতে গঠলো নারায়ণ
আবার গুরু বলে ভজলে তার চরণ।
এ কি ব্যবহার
শুনে চমৎকার
জীবের বোঝা ভার ভূমণ্ডলে।
লীলে দেখিয়ে কল্পিত ব্রজধাম
নারীর মান ঘুচাইতে যোগী হল শ্যাম।
দুর্জয় মানের দায়।
বাঁকা শ্যামরায়
নারীর পাদপদ্ম মাথায় নিলে।
ত্রিজগতে চিন্তা শ্রীহরি
আজ নারীর চিন্তা হলেন গো হরি।
অসদ্ভাব বচন
ভেবে কয় লালন
রাধার দাসখতে শ্যাম বিকালে৷।
————
লালন-গীতিকা, পৃ. ২৫৫
গানটির ছন্দ-লালিত্য অপূর্ব। চরণে চরণে অন্ত্যমিল দিয়ে ধ্বনি-ঝঙ্কার সৃষ্টি করা হয়েছে। অন্তরা, সঞ্চারী ও আভোগ স্তবকের ছন্দ-বিন্যাসটি এরূপে দেখানো যায় : খখ গগ ক
Leave a Reply