আমার মন যেন আজ কেমন
করে না দেখলে তারে।
এই না দেখিয়ে ছিলাম ভাল
কে বা এসে দেখা দিল
…….
দেখা দিয়ে চলে যায় পাগল
কৈরা আমারে।
সে কালা মোর চতুরালী
ও আবার ননীচোরা বনমালী
রসিক
নাম ধরে।
সে যে বাজায় মোহনবাশী,
রাধার স্বরে গান করে।
শুনেছি তার মধূর বচন
ভঙ্গি বাঁকা দুটি নয়ন
মন নিইছে
হরে।
লালন কয়, তোরা বল সজনি,
অভাগিনী আমি কি পাব তারে।।
————
হারামণি, ৫ম খণ্ড, পৃ. ১২০
সাধারণত দুই চরণের ধুয়া হয়; এখানে একটি চরণ আছে। অন্তরার ৩য় চরণটি নেই। ডট’ চিহ্ন দিয়ে তা বুঝানো হয়েছে। “সে কথা বলবো কারে।”– এরূপ চরণ যুক্ত করা যায়।
কৃষ্ণের প্রতি রাধার প্রেম-ব্যাকুলতার মতো ঈশ্বরপ্রেমে লালনের ব্যাকুলতা। “দেখা দিয়ে চলে যায় পাগল কৈরা আমারে”- এই চরণে তা ব্যক্ত হয়েছে। অধরাকে ধরতে না পারার বেদনা বাউলের চিরন্ত নের বেদনা। রাধাকৃষ্ণের লীলার রূপক এভাবেই ব্যক্ত হয়েছে।
Leave a Reply