সোনার মানুষ ভাসছে রসে।
যে জেনেছে রসপন্থী, সে দেখতে পায় অনায়াসে।
তিন শ ষাট রসের নদী
বেগে ধায় ব্রহ্মাণ্ড ভেদি
তার মধ্যে রূপ নিরবধি
ঝলক দিচ্ছে এই মানুষে।
পিতামাতার নাই ঠিকানা
অচিন দেশে বসতখানা
আজগুবি তার আওনা-যাওনা
কারণ বারির যোগ বিশ্বাসে।
অমাবস্য চন্দ্র উদয়
দেখতে যার বাসনা হৃদয়
লালন বলে, থাক সদায়
ত্রিবেণীতে থাকো বসে।।
————
লালন ফকির : কবি ও কাব্য, পৃ. ২০৭; লালন-গীতিকা, পৃ. ৩৩; বাংলার বাউল ও বাউল গান, পৃ. ৪৫-৪৬ (ধুয়ার ২য় চরণে ‘রসপন্থী’ স্থলে ‘রস-পান্তি’ কথান্তর আছে );
‘হারামণি’ ৫ম খণ্ডে ভনিতার চরণ এভাবে লেখা হয়েছে : “লালন বলে থেইকো সদায়/থেইকো ত্রিবেণীর কিনারায় বসে।।“– পৃ. ৬৮
Leave a Reply