সে লীলা বুঝবি ক্ষ্যাপা কেমন করে।
লীলার যার নাইরে সীমা, কোনখানে কোন রূপ ধরে।
আপনি ঘরা সে আপনি ঘরী
আপনি করে রসের চুরি
ঘরে ঘরে।
ও সে আপনি করে ম্যাজিষ্টারী,
আবার আপনি বেড়ায় বেড়ী পড়ে৷
গঙ্গায় রইলে গঙ্গাজল হয়
গর্তে গেলে কূপজল কয়
বেদ-বিচারে।
তেমনি সাঁইর বিভিন্ন আকার
জানায় পাত্র অনুসারে
একে বয় অনন্ত ধারা
তুমি আমি নাম বেওরা
ভবের ‘পরে।
অধীন লালন বলে, কেবা আমি
জানলে ধাঁধা যেত দূরে।।
————
শ্রীরবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, ‘লালন ফকিরের গান’, প্রবাসী, পৌষ ১৩২২; বাংলার বউিল ও বাউল গান, পৃ. ৯৭-৯৮
‘বাউল কবি লালন শাহ’ গ্রন্থে অন্তরা-সঞ্চারীর স্থান-বদল হয়েছে। অনেক চরণে ও স্তবকে পাঠভেদ আছে।– পৃ. ৩০১
হারামণি, ১ম ও ৮ম খণ্ডে গানটি সংকলিত হয়েছে। ১ম খণ্ডের পাঠটি এরূপ :
সাঁইজীর লীলা বুঝবি ক্ষ্যাপা কেমন করে।
লীলাতে নাইরে সীমা কোন সময় কোন রূপ ধরে।
গোঁসাই গঙ্গা গেলে গঙ্গাজল হয়
গোঁসাই গর্তে গেলে কূপজল হয়
গোঁসাই অমনি করে ভিন্ন জনায়
সাধুর বেশ বিচারে।
গোঁসাই আপনার ঘরে আপনি ঘুরি
গোঁসাই সদা করে রসচুরি
জীবের ঘরে ঘরে।
গোঁসাই আপনি করে ম্যাজেষ্টারী
আপন পায়ে পড়ল বেড়ী
ফকির লালন বলে, বুঝতে পারলে
মরণ নাহি তার একই কালে।।– পৃ. ৫৩
এতে মূলের আঙ্গিক ও সুর-কাঠামো রক্ষিত হয়নি। ছন্দের গতি ভিন্ন মাত্রা লাভ করেছে। ৮ম খণ্ডেও নানা রূপ পাঠভেদ আছে।– পৃ. ৩৩। এগুলি যাচাই-বাছাই না করে গ্রহণ করা সংগত হবে না।
Leave a Reply