সরোবরে আসন করে রয়েছেন আনন্দময়।
ও তার জীবন শূন্য সদাই মান্য, স্বয়ং ব্রহ্ম তাঁর মাথায় দেখ।
চক্ষু আছে নাহি দেখে
তিন মড়া একত্রে থাকে
মুই দিয়ে সে পরের মুখে মর্মের কথা কয়।
(ওরে) একে মড়া, নাই তার জীবন
ও তার পেটের মধ্যে জ্যান্ত একজন
সাধকেতে সাধে যখন, ডাকলে মড়া কথা কয়। দেখ।
করছে লীলা ভবের ‘পরে।
দেবের দেব পূজেছেন যারে
পদ নাই সে চলে ফেরে রসিকের সভায়।
(ও রে) সবে মজে সেই পীরিতে
বিলাচ্ছে প্রেম হাতে হাতে
লালন বলে, সেই পীরিতে মজেছে সব আপন ইচ্ছায়।। দেখ।
————
হরেন্দ্রনাথ মণ্ডল, ‘লালন ফকিরের হুকার গান’, প্রবাসী, শ্রাবণ ১৩২৩
হুকার রূপক থেকে ‘হুকার গান’ নামকরণ হয়েছে। হুকার গঠন ও সেবনের প্রেক্ষাপটে রচিত হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে এটি পরমাত্মা বিষয়ক অধ্যাত্মতত্ত্বের গান। ভাব ও ভাষা চিন্তার ক্ষেত্রে লালন আশ্চর্য কবিত্ব শক্তির পরিচয় দিয়েছেন। তিনি বস্তু ও তত্ত্বকে একই আধারে বিন্যস্ত করতে সক্ষম হয়েছেন।
Leave a Reply