লীলা দেখে লাগে ভয়।
নৌকার উপর গঙ্গা বোঝাই ডেঙ্গা বেয়ে যায়।
আবহায়াত নাম গঙ্গা সে যে
সংক্ষেপে কেউ দেখে বুঝে
পলকে পাহাড় ভাসে, পলকে শুকায়।
ফুল ফোটে তার গঙ্গাজলে
ফল ধরে তার অচিন দলে
যুক্ত হয় সে ফুলে ফলে, তাতে কথা কয়
গঙ্গা জোড়া এক মীন ঐ গাঙ্গে
খেলছে খেলা পরম রঙ্গে
লালন বলে, জল শুকালে মীন যাবে হাওয়ায়।।
————
বসন্তকুমার পাল, ‘ফকির লালন সাহ’, প্রবাসী, বৈশাখ ১৩৩৫; লালন-গীতিকা, পৃ. ১২৪ ( ধুয়ার ২য় চরণে ‘ডেঙ্গা বেয়ে যায়’ স্থলে ‘ডাঙ্গায় বয়ে যায়’ কথান্তর আছে।) বাংলার বাউল ও বাউল গানে’ নিম্নরূপ কথান্তর আছে :
সঞ্চারীর ৩য় চরণ– যুক্ত হয়ে ফুলে ফুলেকিবা শোভা পায়।
আভোগের ১ম চরণ– জগৎ-জোড়া মীন সেই গাঙ্গে
আভোগের ৩য় চরণ– জল কালে মীন মিশিবে হাওয়ায়।– পৃ. ৮৫
হারামণি, ৭ম খণ্ড : আভোগের ১ম চরণ– জল জোড়া মীন এসে গাঙ্গে খেলছে খেলা নানা রঙ্গে।– পৃ. ১২৪
একই খণ্ডে ৪২৪ পৃষ্ঠাতেও গানটি সংকলিত হয়েছে। এখানেও নানা পাঠভেদ আছে। এর ধুয়ার ১ম চরণ “সাঁইর লীলা দেখে লাগে ভয়” পাঠটি সঠিক বলে প্রতীয়মান হয়। বাউল কবি লালন শাহ :
অন্তরা– আব হইতে গঙ্গা সে যে
খেলছে খেলা পরম রমে
পলকে পাউড়ি ডোবে পলকে লুকায়।
আভোগের ১ম ও ২য় চরণ– গঙ্গা জোড়া মীন রয়েছে
সংক্ষেপেতে লও রে বুঝে।- পৃ. ২৯০
Leave a Reply