রং মহলে সিঁদ কাটে সদায়।
জানি কোথায় সে চোরের বাড়ি।
পেলে তারে কয়েদ করে
পায়ে দিতাম মনোবেড়ি।
সিদ-দরজায় চৌকিদার একজন
অহর্নিশি আছে সে চেতন।
কিরূপ তারে ভেল্কি মেরে
চুরি করে কোন ঘড়ি।
ঘর বেড়িয়ে ষোল জন সেপাই
তার এক এক জনার গুণের সীমা নাই।
তারাও চোরের না পেলে টের
কার হাতে দিবে দড়ি।
পিতৃ ধন আজ সব নিল লুটে
নেঙটি ঝাড়া করল বটে
লালন বলে, একই কালে
চোরের হল কি আড়ি।৷
————
লালন ফকির : কবি ও কাব্য, পৃ. ২১১
লালন-গীতিকা’য় আভোগ স্তবকটি এরূপ :
পিতৃধন আজ সব নিল চোরে
নেংটি ঝাড়া করলো আমারে
লালন বলে, একই কালে
চোরের হলে কি আড়ি।।– পৃ. ২৫
‘বাউল কবি লালন শাহ’ গ্রন্থে মূল কাঠামো অপরিবর্তিত থাকলেও শব্দের অনেক হেরফের হয়েছে। মৌখিক রচনার ক্ষেত্রে এরূপ পরিবতন অনিবার্য।
রংমহলে চুরি করে কোথায় সে চোরের বাড়ী।
পাইলে সে চোরেরে কয়েদ করে
পায়ে দিতাম মনোবেড়ী।
সিংহ দরজায় চৌকিদার একজন
অহর্নিশি থাকে সচেতন
কখন তারে ভেল্কি মারে
কোন ঘড়ি করে চুরি।
ঘর বেড়ী ষোল জন সেপাই
এক এক জনের বলের সীমা নাই
তারাও চোরের টের পেল না।
কার হাতে দিবে দড়ি।
পিতৃধন সব নিল লুটে
লেংটি ঝাড়া করলে আমার
লালন বলে, একই কালে
চোরের হল কি আড়ি।।– পৃ. ৩১০
Leave a Reply