না জানি কেমন রূপ সে।
নামের সৌরভে যার ত্রিভুবন
মোহিত করেছে।
দেখতে মনে হয় বাসনা
পাইনে তার উপাসনা
কোথায় বাড়ি কোথায় ঠিকানা
খুঁজে পাব কোন দেশে।
আকার কি সাকার ভাবিব
নিরাকার কি জ্যোতি রূপ
এ কথা কারে শুধাব
সৃষ্টি করলেন কোথায় বসে।
উপদেশে গোল যদি রয়
কি ভাবিয়ে কি করে যায়
গোলে হরি বললে কি হয়
লালন ভেবে পায় না দিশে।।
————
লালন ফকির : কবি ও কাব্য, পৃ. ১৭১; লালন-গীতিকা, পৃ. ৯২; বাউল কবি লালন শাহ, পৃ. ২৬৭ (এখানে সঞ্চারীর শেষ চরণ “কি রূপে যাই রূপের দেশে।” পাঠভেদ আছে!)
‘হারামনি,’ ২য় খণ্ডে সঞ্চারীর ২য় চরণে ‘জ্যোতি-রূপ’ স্থলে ‘জ্যোতি-স্বরূপ’ পাঠ আছে। পাঠটি গ্রহণ করা যায়। অন্যত্র অনেক পাঠভেদ আছে। আভোগের ৩য় চরণে “আর গোলেমালে আল্লা বললে কি হয়।” পাঠটি উদ্দেশ্যপূর্ণভাবে আরোপিত হয়েছে।–পৃ. ২৭-২৮।
“হারামণি’, ৭ম খণ্ড পাঠটি আরো বিকৃত হয়েছে। সঞ্চারীর ২য় চরণ “নিরাকার কি যে রূপ দিব” রূপে লেখা হয়েছে।– পৃ. ১৯
Leave a Reply