দিল দরিয়ায় ডুবিলে সে চরের খবর পায়।
নইলে পুথি পড়ে পণ্ডিত হইলে কি হয়৷
স্বয়ং রূপ দর্পণে ধরে
মানবরূপ সৃষ্টি করে, হে
দিব্যজ্ঞানী যারা
ভাবে বোঝে তারা
মানুষ ধরে কার্য সিদ্ধি করে লয়৷
একেতে হয় তিনটি আকার
অযোনী সহজ সংস্কার, হে
যদি ভাব-তরঙ্গে তর
মানুষ চিনে ধর
দিনমণি গেলে কি হবে উপায়।
মূল হতে হয় ডালের সৃজন
ডাল ধরলে পায় মূল অন্বেষণ, হে
তেমনি রূপ হতে স্বরূপ
তারে ভেবে বিরূপ
অধীন লালন সদা নিরূপ ধরতে চায়।।
————
শ্রীবসন্তকুমার পাল, ‘ফকির লালন সাহ’, প্রবাসী, বৈশাখ ১৩৩৫
লালন ফকির : কবি ও কাব্য, পৃ. ১৬০-৬১ (এখানে অন্তরার ৫ম চরণে “মানুষ ভজে কার্যসিদ্ধি করে যায়।” এরূপ পাঠভেদ আছে।) লালন-গীতিকা, পৃ. ৮৩-৮৪ (এখানে ধুয়ার ১ম চরণে ‘চরের’ স্থলে ‘দরের’ কথান্তর আছে ); বাংলার বাউল ও বাউল গান, পৃ. ৭৫
Leave a Reply