জীব ম’লে জীব যায় কোন সংসারে।
ঈশ্বরের ঘর-বাড়ি যদি হয় অসার ভুবনে।
রাম নারায়ণ গৌর হরি
ঈশ্বর যদি গণ্য করি
তারা তবে গর্ভধারী
এ সংসারে হয় কেনে।
যারে তারে ঈশ্বর বলা
বুদ্ধি নাই তার অর্ধ তোলা
ঈশ্বরের হয় যম-জ্বালা
ভাব কি সে তাই মনে।
ত্রিজগতের মূলধার সাঁই
জন্ম-মৃত্যু তার কিছুই নাই
সিরাজ সাঁই কয়, লালন রে তাই
থাক সদায় ঠিক জেনে।।
————
লালন-গীতিকা, পৃ. ৩০৪
ধুয়ায় অন্ত্যমিল রক্ষিত হয়নি। সম্ভবত ‘সংসারে’ স্থলে ‘স্থানে’ পাঠ হবে। পাঠান্তরে অন্ত্যমিল এভাবে আছে :
জীব মরে জীব যায় কোন সংসারে।
জীবের গতি মুক্তি কে করে।
রাম নারায়ণ গৌর হরি
ঈশ্বর গণ্য যদি করি
তারা হলেন গর্ভধারী
জীবের ভার তখন দেয় কারে।
যারে তারে ঈশ্বর বলা
বুদ্ধি নাই তার অর্ধ তোলা
ঈশ্বরের কেন যম-জ্বালা
তাই ভাবি মনের দ্বারে।
ত্রিভুবনের মূলধার সাঁই
জন্ম-মৃত্যু তার কিছুই নাই
লালন বলে, জানে সবাই
ঘোর ধাঁধায় ঘোরে।।– বাউল কবি লালন মাহ, পৃ. ২৮১
কোনটি আদি পাঠ আর কোনটি পরিবর্তিত পাঠ, তা নির্ণয় করা কঠিন। গানের ভাব, ভাষা ও সুর কাঠামো উভয় পাঠে অভিন্ন।
Leave a Reply