চেয়ে দেখ নারে মন দিব্য নজরে।
চারি চাঁদ দিচ্ছে ঝলক মণিকোঠার ঘরে।
হলে সে চাঁদের সাধন
অধর চাঁদ হয় দরশন (হয় রে)
আবার চাঁদেতে চাঁদের আসন
রেখেছে ফিকিরে।
চাঁদে চাঁদ ঢাকা দেওয়া
চাঁদে দেয় চাঁদের খেওয়া (দেয় রে)
জমিতে ফলছে মেওয়া
চাঁদের সুধা ঝরে।
নয়ন-চাঁদ প্রসন্ন যার
সকল চাঁদ দৃষ্ট হয় তার (হয় রে)
লালন কয়, বিপদ আমার
গুরু-চাঁদ ভুলে রে।।
————
শ্রীবসন্তকুমার পাল, ফকির লালন সাহ’, প্রবাসী, শ্রাবণ ১৩৩২;
মহাত্মা লালন ফকির, পৃ. ১৪-১৫
রবীন্দ্র-সদনে রক্ষিত গানের খাতায় গানটি দুবার উল্লিখিত হয়েছে। একটি পাঠ শুরু হয়েছে এভাবে : “তোরা দেখ না রে মন দিব্য নজরে।” অন্যত্র বসন্তকুমার পালের সংগৃহীত গানের সাথে মিল আছে।– পৃ. ২২১-২২। ২য় পাঠে নিম্নরূপ কথান্তর আছে :
অন্তরার ২য় চরণ– অধর চাঁদ পায় দরশন (পায় রে)
সঞ্চারীর ৩য় চরণ– জমিনেতে ফলছে মেওয়া
আভোগের ২য় চরণ–সকল চাঁদ হয় গো নেহার।– লালন ফকির : কবি ও কাব্য, পৃ. ২১৭
‘লালন-গীতিকা’ ও ‘বাংলার বাউল ও বাউল গান’ গ্রন্থে গানের খাতার অনুরূপ পাঠ আছে।– পৃ. ১২১
Leave a Reply