খেলছে মানুষ নীরে ক্ষীরে
আপন আপন ঘর
বোঝ মন আমার
কেন হেতড়ে বেড়াও কোলের ঘোরে।
শূন্যদেশে মেঘের উদয়
নীরদ বিন্দু বরিষণ তায়
তাতে ফলছে ফল
রঙ-বেরঙ হাল
আজব কুদরতি কল ভাবের ঘরে।
নীর-নদী গভীরে ডোবা কঠিন হয়
ডুবলে কত আজব দেখা যায়
ও সে নীর-ভাণ্ড
পোরা ব্রহ্মাণ্ড
কাণ্ড বলতে আমার নয়ন ঝুরে।
ইন্দ্ৰ ডঙ্কা নাহি সে রাজ্যে
সহজ ধারা ফেরে সহজে
সিরাজ সাঁইর চরণ
মিথ্যা নয় লালন
একবার ডুব দিয়ে দেখ স্বরূপ-দ্বারে।।
————
লালন ফকির : কবি ও কাব্য, পৃ. ২২৭-২৮।
‘লালন-গীতিকা’য় আভোগের ৪র্থ চরণে ‘চরণ’ স্থলে ‘বচন’ কথান্তর আছে।– পৃ. ২৪। বাংলার বাউল ও বাউল গানে অন্তরার ১ম চরণে ‘শূন্যদেশে’ স্থলে ‘সর্বদেশে’, সঞ্চারীর ২য় চরণে ‘আজব’ স্থলে ‘আজব চীজ’ এবং আতভাগের ১ম চরণে ‘ইন্দ্রডঙ্কা’ স্থলে ‘ইন্দ্ৰডাঙা’ কথান্তর আছে।-পৃ ১১৪। সামান্য কথান্তরসহ গানটি ‘বাউল কবি লালন শাহ’ গ্রন্থে সংকলিত হয়েছে।– পৃ. ৩০৬-০৭
Leave a Reply