কি শোভা করছে সাঁই রঙ-মহলে।
অজান রূপে দিচ্ছে ঝলক
দেখে নয়ন যায় গো ভুলে।
লাল জরদ ছনি মণি
বলব কি তার রূপের বাখানি
দেখতে যেমন পরশমণি
তারার মালা চাঁদের গলে।
জলের মধ্যে কলের কোঠা
সপ্ত তালা আয়না আঁটা
তার ভিতরে রূপের ছটা
মেঘেতে বিজুলী খেলে।
অনুরাগে যার বাঁধা হৃদয়
তারই সে রূপ চোখে উদয়
লালন বলে, শমনের দায়
এড়াইবে অবহেলে।।
————
বাউল ফকির লালন শাহ, পৃ. ২৭৮
লালন-গীতিকায় অন্তরা ও সঞ্চারীর স্থান-বদল হয়েছে। অন্তরাতে এরূপ পাঠভেদ আছে :
লাল জরদ আর ছনিমণি।
বেড়ে সে রূপের কণি
দেখতে শোভা যায় অমনি
তারার মালা চাঁদের গলে।
এ ছাড়াও ভনিতার চরণটি “এড়াইবে শমন দায়/লালন ম’ল অবহেলে।।” রূপে লেখা হয়েছে।– পৃ. ১০৩
‘হারামণি’, ৫খণ্ডে সঞ্চারী স্তবক নেই। অন্তরা স্তবকটি এভাবে সংকলিত হয়েছে :
লাল জরদা চুনি মণি
পড়েছে এক রূপের খনি;
ও তারে দেখতে শোভা এমনি জানি,
তারার মালা চান্দের গলে৷– পৃ. ৬
Leave a Reply