এসো দয়াল, আমায় পার কর ভবের ঘাটে।
দেখে ভব-নদীর তুফান, ভয়ে প্রাণ কেঁপে উঠে।
পাপ-পুণ্য যতই করি
ভরসা কেবল তোমারি
তুমি যদি হও কাণ্ডারী
ভব-ভয় তার যায় ছুটে।
সাধনার বল যাদের ছিল
তারা কূল-কিনারা পেল
আমার দিন বাজে গেল
কি জানি কি হয় ললাটে।
পুরাণে শুনেছিলাম খবর
পতিতপাবন নাম তোর
লালন কয়, আমি পামর
তাইতে দোহাই দেই বটে।।
————
মতিলাল দাশ, ‘লালন ফকিরের গান’, লালন স্বারকগ্রন্থ, পৃ. ৪৩
‘বাংলার বাউল ও বাউল গানে’ সঞ্চারীর ৩য় চরণে ‘বাজে’ স্থলে ‘বৃথা’, আভোগের ১ম চরণে ‘পুরাণে সব শুনেছি খবর’ এবং ৩য় চরণে ‘লালন কয়, আমি অধম পামর’ কথান্তর আছে।– পৃ. ২৮
‘বাউল কবি লালন শাহ’ গ্রন্থে ধুয়াটি এভাবে লেখা হয়েছে :
এসে পার কর ভবের ঘাটে
এসো দয়াল, ভব-নদীর তুফান দেখে
ভয়ে প্রাণ কেঁপে উঠে।।
এ ছাড়াও আভোগের ১ম চরণে ‘পুরাণে’ স্থলে ‘কোরানে’ কথান্তর আছে।–পৃ. ২৫৭ পরবর্তীকালে অঞ্চল ও যুগের প্রভাবে এরূপটি হয়েছে। প্রথম পাঠটি শুদ্ধ।
Leave a Reply