আজ করছে সাঁই ব্রহ্মাণ্ডের
উপর সে রূপ লীলে।
নিরাকারে শেষে ছিল যেরূপ হালে৷
নিরাকারে গম্ভো ভারি
আমি কি বুঝতে পারি
কিঞ্চিৎ প্রমাণ তারি
শুনি সুফলে।
আবিম্ব উথলিয়ে নীর
পড়িছে সে নিরাকার
ডিম্বরূপ হয় গো তার
সৃষ্টির
ছলে।
আপন তত্ত্বে আপনি কানা
মিছে করি পড়াশোনা
লালন বলে, যাবে জানা
আপনারে চিনিলে৷।
———–
লালন ফকির : কাব্য ও কাব্য, পৃ. ২২২-২৩
‘লালন-গীতিকা’য় ধুয়ার ১ম চরণে “আজ করছে রে সাঁই ব্রহ্মাণ্ডের পর সে রূপ লীলে/নরাকারে ভেসে ছিল সেরূপ হালে।।” রূপ পাঠভেদ আছে। এতে অন্তরা ও সঞ্চারী স্তবকের স্থান-বদল হয়েছে। অন্তরার ২য় চরণে “আমি কি তাই জানতে পারি” এবং সঞ্চারীর ১ম চরণে ‘উথলিয়ে’ স্থলে উজালিয়ে কথান্তর আছে।– পৃ. ৩৯-৪০
Leave a Reply