দিবারেতে থেকো সবে বে-হুঁসিয়ারি।
রসুল বলে, এ দুনিয়া যেন ঝকমারি।
পড়িও আউজবিল্লা(১)
দূরে যাবে লানতুল্লা(২)
মুরশিদ রূপ যে করে হিল্লা(৩)
শঙ্কা যায় তারি৷
জাহের কথা সব সফিনায়(৪)
গুপ্ত কথা দিলাম সিনায়
এমনি রূপে তোমরা সবায়
দিও প্রচারি৷
অসৎ অভক্ত জনা
তারে গুপ্ত ভেদ বল না
বলিলে সে মানিবে না
করবে এনকারি।।(৫)
খলিফা আউলিয়া র’লে
যে যা বোঝে দিও বলে
লালন বলে, রসুলের যে
নসিহত জারি৷।
————
লালন ফকির : কবি ও কাব্য, পৃ. ২৪০; লালন-গীতিকা, পৃ. ১৭৭-৭৮
হারামণি, ১ম খণ্ডে স্তবক-বিন্যাসে হেরফের আছে। সঞ্চারীর ১ম চরণে ‘অসৎ’ স্থলে ‘অবোধ’ এবং ‘একারি’ স্থলে ‘অহঙ্কারি’ কথান্তর আছে।– পৃ. ৪৮-৪৯; বাউল কবি লালন শাহ, পৃ. ১৪২-৪৩
১. আউজুবিল্লা– আল্লার শরণাপন্ন হয়ে শুরু করা; ২. লানতুল্লা– অল্লার অভিশাপ; ৩. হিল্লা– কায়দা, কৌশল; ৪. সাফনা– মধ্যস্থতা; ৫. এনকারি– অবহেলা।
Leave a Reply