অপারের কাণ্ডারী নবীজী
আমার,
ভজন সাধন
বৃথা নবী না চিনে।
ও সে আউয়াল আখের বাতিন জাহের।
নবী কখন
কিরূপ ধারন করে কোনখানে৷
আশমান জমিন জল আদি পবন
যে নবীর নূরে হয় সৃজন।
বল, কিসে ছিল সে নবীর আসন
নবী পুরুষ কি প্রকৃতি
আকার তখনে।
আল্লা নবী দুটি অবতার
গাছ বীজ যেরূপ দেখি যে প্রকার
তোমরা সুবুদ্ধিতে কর হে
বিচার
ও তার গাছ বড় কি ফলটি
বড়, লও জেনে।
আপ্ততত্ত্বে ফাজিল যে জনা
জানতে পায় সে নিগূঢ় কারখানা
হল রসুল রূপে প্রকাশ রব্বানা
অধীন লালন বলে, দরবেশ সিরাজ সাঁইর গুণে।।
———–
লালন ফকির : কবি ও কাব্য, পৃ. ২৩১-৩২; লালন-গীতিকা, পৃ. ১৮২-৮৩; বাউল কবি লালন শাহ, পৃ. ২৬০
‘হারামণি’ ১ম খণ্ডে গানটি সংকলিত হয়েছে। এতে পাঠভেদ আছে। যেমন,
অন্তরা– আসমান জমিন জলধি পবন
নবীর নূরে করিল সৃজন
তখন কোথায় ছিল নবীজীর আসন
নবী পুরুষ কি প্রকৃতি
আকার।
সঞ্চারী– আল্লা নবি দুটি অবতার
আছে গাছ বীজেতে যে প্রকার
গাছ বড় না ফলটি বড়
তাও নাও হে জেনে।।– পৃ, ৪৯-৫০
Leave a Reply