সে করণ সিদ্ধি করা সামান্যে
কি হয়।
গরল হৈতে সুধা নিতে অন্তে সে প্রাণ যায়।
সাপের কাছে নাচায় বেঙ্গা
সে বড় আজব রাঙ্গা
রসিক যদি হয় সে খোঙ্গা
অমনি ধরে খায়৷
ধন্বন্তরির গুণ শিখিলে
তাই কি মানে রূপের কালে
সে গুণ তার উল্টিয়ে ফেলে
মস্তকে
ডংসায়।
একান্ত যে অনুরাগী।
জেন্তে মরা ভয়-ত্যাগী
লালন কয়, সে রসিক যোগী
আমার
কার্য নয়।।
————
লালন ফকির : কবি ও কাব্য, পৃ. ২১২-১৩
‘লালন-গীতিকা’য় ধুয়াটি এভাবে সংকলিত হয়েছে:
সে করণ সিদ্ধি করা সামান্য
কাজ নয়।
গরল হইতে
ক্ষুধা নিতে আত্যশে প্রাণ যায়৷–পৃ. ৪৯
‘বাংলার বাউল ও বাউল গানে’ অন্তরার ২য় চরণে ‘সে’ স্থলে ‘এতো’ এবং ৩য় চরণে ‘খোঙ্গা’ স্থলে ‘ধোঙ্গা’ কথান্তর আছে। পৃ. ১২১
‘হারামণি’, ৫ম খণ্ডে ধুয়ার ২য় চরণ ‘সুধা ফেলে গরল মেলে আতশে প্রাণ যায়’–রূপে লেখা হয়েছে। এছাড়াও অন্তরার ৩য় চরণে ‘ধোঙ্গা’ স্থলে ‘সাঙ্গা’, সঞ্চারীর ২য় চরণে ‘তাই কি মানে’ স্থলে ‘সে কি ভোলে’, অভোগের ১ম চরণে ‘একান্ত’ স্থলে ‘নিতান্ত’ এবং ২য় চরণে ‘জেন্তে মরা ভয় ত্যাগী’ স্থলে ‘নিষ্ঠার রতি ভয়ংতেগি’ কথান্তর আছে। পৃ. ৬৯-৭০ ‘বাউল কবি লালন শাহ’ গ্রন্থে আভোগের ২য় চরণ “শুদ্ধরতি ভয় অহং ত্যাগী’ রূপে লিখিত হয়েছে।-পৃ. ২৮৮
বিভিন্ন গ্রন্থে সংকলিত হওয়ায় গানটির জনপ্রিয়তা প্রমাণিত হয়। এতে লালনের প্রিয় ছন্দ-রীতি ও সুর-কাঠামো অনুসৃত হয়েছে। এর ছন্দ-রীতি খখখক।
Leave a Reply