সে কথা কি কবার কথা
জানিতে হয় ভাবাবেগে।
অমাবস্যায় পূর্ণশশী
পূর্ণিমাতে অমাবস্যে।
অমাবস্যা পূর্ণিমার যোগ
আজব সম্ভব সম্ভোগ
জানলে খণ্ডে এ ভব-রোগ
গতি হয় অখণ্ড দেশে।
রবি-শশী রয় বিমুখা
মাস-অন্তে
হয় একদিন দেখা
সেই যোগের যোগ লেখা
সাধলে
সিদ্ধি হয় অনায়াসে।
দিবাকর নিশাকর সদায়
উভয় অঙ্গে উভয় লুকায়
ইসারাতে সিরাজ সাঁই কয়,
লালন
ভেঁড়ের হয় না দিশে।।
————-
৩৬৮. লালন ফকির : কবি ও কাব্য, পৃ. ২২৮
লালন-গীতিকায় ধুয়ার ২য় চরণ “অমাবস্যা পৃর্ণিমা সে, পৃর্ণিমা সে অমাবস্যে।” এবং সঞ্চারীর ৩য় চরণ “সেই যোগের যোগে লিখা জোখা” রূপে লেখা হয়েছে। (পৃ. ১০১১)। ‘বাংলার বাউল ও বাউল গানে’ও সঞ্চারীর ৩য় চরণ একইভাবে লেখা হয়েছে; এর ১ম চরণে ‘রয়’ স্থলে ‘রং’ কথান্তর আছে। (পৃ. ৮৪)
Leave a Reply