সময় বুঝে বাঁধাল বাধলে
না।
জল শুকাবে, মীন পালাবে
পস্তাবিরে ভাই মনকানা।
ত্রিপীনির তীর-ধারে
মীন রূপে সাঁই বিহার
করে
উপরে উপরে বেড়াও ঘুরে
সে গভীরে ডুবলে না।
মাস অন্তে মহাযোগ হয়
নীরস হইতে রস ভেসে যায়
করিয়ে সে যোগের নির্ণয়
মীনরূপ খেল দেখলে না।।
জগৎ-জোড়া মীন অবতার
তার মর্ম আছে সন্ধির উপর
সিরাজ সাঁই কয়, লালন
রে তোর
সন্ধানীকে চিনলে না৷।
————
বাংলার বাউল ও বাউল গান, পৃ. ৪৯; লালন স্মারকগ্রন্থ, পৃ. ৪২-৪৩,
হারামণি, ৫ম ও ৭ম খণ্ডে গানটি সংকলিত হয়েছে। এতে ধুয়ার ২য় চরণ “হারে জল শুকালে মীন পলাবে, ফলবি কি মনা।”–রূপে লেখা হয়েছে।
আভোগে বেশ পার্থক্য আছে :
মীনরূপে সে বিহার করে।
কৃত্তি করে শূন্য ভরে
সিরাজ সাঁই কয়, লালন রে
কেন তার সন্ধান জানলে
না৷– পৃ. ১৮ (৫ম খণ্ড), ৩৯৭ (৭ম খণ্ড),
‘বাউল কবি লালন শাহ’ গ্রন্থে ধুয়ার ১ম চরণে ‘বুঝে’ স্থলে ‘থাকতে’, ২য় চরণে ‘ভাই মন কানা’ স্থলে ‘ভাই মনা’, অন্তরার ১ম চরণে ‘ত্রিপীনির তীর-ধারে’ স্থলে ‘ত্রিবেনীর তিন ধারে’ কথান্তর আছে। এই গ্রন্থে আভোগটি এভাবে সংকলিত হয়েছে :
জগৎ-জোড়া
মীন অবতার
ছন্দি বোঝ ছন্দির উপর।
সিরাজ সাঁই কয়, লালন এবার
গেল না আওনা যাওনা।– পৃ,
২৯৩-৯৪
Leave a Reply