যে সাধন জোরে কেটে যায়
কর্ম-ফাঁসি।
যদি জানবি সে সাধনার
কথা,
হও গুরুর দাসী।
স্ত্রীলিঙ্গ পুংলিঙ্গটি
আর
নপুংসক শাসিত কর
আছে যে লিঙ্গ ব্রহ্মাণ্ডের
উপর
কর প্রকাশি।
মারে মৎস্য না ছোঁয় পানি
রসিকের অমনি করণি
ও সে আকর্ষণে আনে টানি
ক্ষীরোদ-শশী।
কারণ-সমুদ্রের পারে
গেলে পায় অধর চান্দেরে
অধীন লালন বলে, নৈলে ঘুরে
মরবি
চৌরাশি।।
————
৩৫৭. লালন ফকির: কবি ও কাব্য, পৃ. ২০৩; লালন-গীতিকা, পৃ. ৮৯; বাউল কবি লালন শাহ, পৃ. ২৯২
(ধুয়ার ২য় চরণের পাঠভেদ-”জানবি যদি সাধন কথা/হও গুরুর দাসী।”); বাংলার বাউল ও বাউল গান, পৃ. ১১৭-১৮; লালন-সঙ্গীত, পৃ. ১৪০ (ধুয়ার, ২য় চরণের পাঠভেদ—”জানবি সে সাধনের খেলা/হও যেয়ে গুরুর দাসী”)।
হারামণি, ৫ম খণ্ড, পৃ. ৫
গ্রন্থগুলিতে শব্দগত সামান্য হেরফের ছাড়া অন্য পরিবর্তন নেই। গানটি এরূপে রক্ষিত হওয়ায় এর জনপ্রিয়তা প্রমাণিত হয়।
Leave a Reply