যে জন পদ্মহীন সরোবরে যায়,
অটল অমূল্য নিধি সেই অনায়াসে পায়।
অপরূপ সেই নদীর পানি
জন্মে তাতে মুক্তামণি
বলবো কি তার গুণ বাখানি
পরশে
পরশ হয়।
পলক ভরে পড়ে চরা
পলকে বয় তরকা ধারা
সে ঘাট বেঁধে মৎস্য ধরা
সামান্য কাজ নয়।
জিনে হাওয়ায় মৌজ খেলে
ত্রিখণ্ড হয় ভিন্ন পলে
তাহে ডুবে রত্ন তোলে
রসিক
মহাশয়।
গুরুজী কাণ্ডারী যারে
অথায়ে থায় দিতে পারে
লালন বলে, সাধন জোরে
শমন এড়ায়।।
————
৩৫০. লালন ফকির : কবি ও কাব্য, পৃ. ২০৬; লালন-গীতিকা, পৃ. ৩৩-৬৪ (এখানে সঞ্চরীর ২য় চরণে ‘ত্রিখণ্ড হয় ভিন্ন পলে” স্থলে ‘ত্রিখণ্ড ত্রিশ পলে” কথান্তর আছে ); লালন-সঙ্গীত, পৃ. ১৬৩। কথান্তর :
ধুয়া- যে জন মানব-দরিয়ার কুলে যায়।
অমূল্য অটল নিধি অনায়াসে পায়।
সঞ্চারী- পলক-ভরে পড়ে চড়া।
পলকে রয় তায় গুণীরা।
৪র্থ স্তবক-বিনে
হাওয়ায় মৌজ খেলে
ত্রিখণ্ড হয় ত্রিপিনালে।
অভোগ- শুরু যদি হয় কাণ্ডারী
অথাই দিতে পারে রে পাড়ি। — পৃ. ১০৯-১০
হারামণি, ৭ম খণ্ডে ধুয়ার ১ম চরণে ‘পদ্মহীন’ স্থলে ‘হেম’ কথান্তর আছে : পৃ. ৪০৫ ‘বাউল কবি লালন শাহ’ গ্রন্থে সঞ্চারীর ২য় চরণ ‘ত্রিখও হয় তিন পলে” এবং ৪র্থ স্তবকের ২য় চরণ ‘পলকে হয় তর্কা ধরা’ রূপে সংকলিত হয়েছে।– পৃ. ৯০
বিভিন্ন সংকলনে স্থান পাওয়ায় গানটির জনপ্রিয়তা প্রমাণিত হয়।
Leave a Reply