যদি শরায় কার্য সিদ্ধি
হয়,
তবে মারফতে কেনে মরতে যায়।
শরিয়ত
আর মারফত যেমন
দুগ্ধেতে মিশালে মাখন
মাখন তুললে দুগ্ধ তখন
ঘোল বলে তাতো জানে সবায়।
মারফত মূলবস্তু বাণী
শরিয়ত তার সরপোষ জানি
ঘুচাইলে সরপোষখানি
বস্তু লয়ে কি সরপোষ ধরে রয়।
আক্কেল আওয়াল দরিয়া
দেখ না মন তাতে ডুবিয়া
মুরশিদ ভজন সে লাগিয়া
লালন বলে, তাতে ভুল সবায়।।
————
৩৪৭. লালন ফকির : কবি ও কাব্য, পৃ. ১৪০; লালন-গীতিকা, পৃ. ১৪৩-৪৪; হারামণি, ৮ম খণ্ড, পৃ. ৪২-৪৩
‘লালন-গীতিকা’য় এরূপ একটি অতিরিক্ত স্তবক আছে :
মুহুরি একথা দলিলে কয়
সে মুরশিদ সেই রসুল
তাহাতে নাই কোন ভুল
খোদা
সে হয়।
দরবেশ লালন কয় না এমন
কথা
কোরাণে কয়– পৃ. ১৪৩-৪৪
বস্তুত এটি প্রক্ষিপ্ত; স্তবক-বিন্যাস ও ছন্দের দিক থেকে পার্থক্য আছে। সম্ভবত অন্য কোন গানের স্তবক এখানে যুক্ত হয়েছে।
Leave a Reply