মানুষ ঝলক দিবে নেহারে।।
রও মন, কপাট মার কামের ঘরে।।
হাওয়া ধর, অগ্নি স্থির
কর
যাতে মরিয়ে বাঁচিতে পার
মনরে, মরণের আগে মরন
শমন যাক
ফিরে।
রও মন, দেখে শমন যাক ফিরে।।
বারে বারে করি রে মানা
ও মন,
লীলাবশে বাস কর না
রেখো তেজির ঘর তেজিয়ানা
সাধরে মন উর্ধ চাঁদ ধরে।
জান না মন, পারাহীন দর্পণ
তাতে কেমন হয় রূপ দর্শন
অতি বিনয় করে কয় লালন,
থেক হুঁসিয়ারে।।
————
৩৪৩. লালন ফকির : কবি ও কাব্য, পৃ. ১৮৬-৮৭
‘লালন-গীতিকা’য় সঞ্চারীর ২য় চরণে ‘লীলাবশে’ স্থলে ‘লীলে বাসে’, আভোগের ১ম চরণে ‘পারাহীন’ স্থলে ‘পরাধীন’ এবং ২য় চরণে ‘রূপ’ স্থলে ‘অঙ্গ’ কথান্তর আছে। (পৃ. ৩১০) বস্তুত এরূপ পাঠ শুদ্ধ নয়।
কথান্তর :
মানুষ ঝলক দিচ্ছে রূপ
নিহারে।
রও মন,
কপাট মার কামের ঘরে।
হাওয়া ধর, অগ্নি স্থির
কর
যাতে মরিলে বাঁচিতে পার
মরারও
আগেতে মর
শমন তোমার যায় ফিরে।।
বারে
বারে করিরে মানা
লীলা রসে তুমি বাস কর না।
রাগের ঘর কখনও ত্যজ না
শুধু শুধু চন্দ্র ধরে।
চিনরে মন পারাহীন দর্পণ
যাতে হবে সেই রূপ দর্শন
বিনয় করে বলছে লালন,
থেক রে
মন হুঁসিয়ারে।।
হারামণি, ৫ম খণ্ড, পৃ. ১৯-২০; ৭ম খণ্ড, পৃ. ৪০১-০২
মূলভাব, আঙ্গিক ও সুর-কাঠামো অভিন্ন থাকলেও শব্দগত অনেক পার্থক্য আছে। মৌখিক ধারার রচনার ক্ষেত্রে এরূপ পরিবর্তন অনিবার্য।
Leave a Reply