মধুর দিল-দরিয়ায় যেজন
ডুবেছে।
সে না সব খবর জবর হয়েছে।।
অগ্নি
যৈছে ভস্মে ঢাকা
অমৃত গরলে মাখা
সেইরূপে আছে রসিক সুজন
ডুবাইয়ে মন তার অন্বেষণ পেয়েছে।৷
যে স্তনের দুধ শিশুতে
খায়
জোঁকে মুখ লাগিলে সেথা
রক্ত পায়
অধমে উত্তম, উত্তমে অধম
কে কেমন তাই দেখতেছে৷।
দুগ্ধে জলে মিশলে যেমন
হংসরাজ করে ভক্ষণ
সেই ছন্দ বেছে৷৷
সিরাজ সাঁই ফকির বলে, লালন ঘুরে বেড়ায়
সব ফিকির না বুঝে।।
————
৩৩৫. লালন-গীতিকা, পৃ. ৭৯-৮০
শিশুর দুগ্ধ-পান এবং জেঁকের রক্ত-শোষণের উপমা ৩২৮ নং গানেও আছে। চার চরণে স্তবকের ছন্দ-রীতি খখগক! আভোগে এর ব্যতিক্রম আছে!
‘মহাত্মা লালন ফকির’ গ্রন্থে গানটি এভাবে উদ্ধৃত হয়েছে :
মধুর দিল-দরিয়ায় সে জন
ডুবেছে।
সে না সব খবরের জবর জেনেছে৷।
পর্বতের উপরে গঙ্গা
জলের ভেতরে ডাঙ্গা
ডুবে
দেখ না এবার, ডুবে দেখ না।
ডুবলে
ডাঙ্গা পাই
উঠলে ভেসে যাই।
বিষম তরঙ্গে বড় তুফান
রে।।
মাকড়ার
আঁশে হস্তী বাধা
লোহার তারে চেঁউটী১ ছাঁদা
তাহাও যায় ছিঁড়ে।
একি অসম্ভব
কৃতিকর্মা
সব
যে যেমন সে তেমন পেয়েছে।।
উত্তমে অধম অধমে উত্তম
লালন
বলে যে যেমন
সে তেমন
পেয়েছে।।–পৃ. ৫৭-৫৮।
Leave a Reply