ভজ মুরশিদের কদম এই বেলা।
ওগো, যার পেয়ালায় হৃদ-কমলা
ক্রমে হবে উজ্জ্বালা।
নবীজীর খান্দানেতে
পেয়ালা চারি মতে
জেনে লও দিন থাকিতে
ওরে আমার মন-ভোলা৷।
কোথা
আবহায়াত নদী
ধারা বয় নিরবধি
ধর সেই ধারা যদি
দেখবি অটলের খেলা।।
এপারে কে আনিলো
ওপারে কে নেবে বলো
লালন কয়, তারে ভোলো
কেন রে
করো হেলা।।
————
৩৩০. লালন ফকির : কবি ও কাব্য, পৃ. ১৩৬।
‘লালন-গীতিকা’য় ধুয়ার ২য় চরণে ‘পেয়ালায় হৃদ-কমলা’ স্থলে ‘পেয়ালা হৃদ-কমলে’ এবং অন্তরার ১ম চরণে ‘খান্দানেতে’ স্থলে ‘সন্ধানেতে’ কথান্তর আছে। পৃ. ১৫৩। লালন-সঙ্গীতে ধুয়ার ২য় চরণে ‘যার’ স্থলে ‘চার’ এবং সঞ্চারীর ৩য় ও ৪র্থ চরণে ‘সে ধারা ধরবি যদি/দেখবি রে অটলের খেলা’ কথান্তর আছে।-পৃ. ৪৭।
Leave a Reply