বিষামৃত আছে রে মাখাজোখা।
কেবা শোনে কেবা বাজায়
যায় না
জীবের দেলে ধোঁকা৷
বিকার যার শান্ত হল
হৃদ-কমলে তার সদায় আলো
যথায় মন্দ তথায় ভাল
অবশ্য সে পায় দেখা।।
মায়ের যেমন শিশু ছেলে
দুগ্ধ খায়, তার দুগ্ধ মেলে
সেই জায়গাতে জোঁক লাগিলে
রক্ত দেখ পায় জোঁকা৷।
হলে আপন দেহের নির্ণয়
সব খবরের জবর সে হয়
লালন তোমার মুখ সবল নয়
মন বাঁকা।।
————
৩২৮. লালন ফকির : কবি ও কাব্য, পৃ. ২২৯-৩০; লালন-গীতিকা, পৃ. ৩১৪-১৫; বাংলার বাউল ও বাউল গান পৃ. ১১৯-২০
কথান্তরঃ
বিষকৃত আছে মাখাজোখা।
কেউ জানে না, কেউ শোনে না
যায় না জাতের দেলে ধোকা।।
হিংসা বিন্দা সব গেলে
আলো হয় তার হৃদ-কমলে
অধমে উত্তমে মিলে
গুরু সাড়ে হয় সখা৷।
মায়ের কেমন শিশু ছেলে
দুগ্ধ খায়, তার দুগ্ধ মেলে
আবার সে ধারেতে জোঁক লাগিলে
রক্ত-নদী পায় দেখা।।
গভীর ভাণ্ডে গো-রচনা
গাভী
তাহার ভেদ জানে না
সিরাজ সাঁই কয়, লালন কানা
তেমনি তুই একটা বোকা৷।
বাউল কবি লালন শাহ, পৃ. ২১৯।
বস্তুত এখানে বিস্তর পাঠভেদ আছে। বিশেষত অন্তরা ও আভোগে ভাব ও ভাষা পরিবর্তিত হয়েছে। খাতায় বিধৃত গানটি আদি ও সঠিক পাঠ বলে আমরা মনে করি।
Leave a Reply