প্রেম-ডুবারু বিনে কে জানে।
ও সে জেনে প্রেমের গতি
কুটিল অতি
ডোবে গহীনে৷।
সামান্যে কি চিনে সেই নদী
সেথা বিনে হাওয়ার ঢেউ ওঠে নিরবধি
শুভযোগে জোয়ার আসে যদি
ত্রিবেণী ভেসে যায় সমানে।।
মৃত্তিকাহীন নদীর পরে
মীন এক আসা-যাওয়া করে
অন্যে
চিনতে পারবে জেনে।।
পূর্নিমার যোগে সে মীন
ভাসে
কারুণ্য তারুণ্য এসে
লাবল্য যখন মিশে
সাধকে মীন ধরতে পারে সেইদিনে।।
সেই নদীতে
চান করিলে শুভ যোগে
ওরে ভব-ভয় তোর দূরে যাবে
লালন কয়, এড়াবি শমনে।।
————
৩২২. বাংলার বাউল ও বাউল গান, পৃ. ৯৪
গানটিতে হস্তক্ষেপ হয়েছে বলে মনে হয়। এতে একটি অতিরিক্ত স্তবক আছে; অন্তরায় চার চরণ, অন্যগুলোতে তিন রণ আছে। ‘হারামণি’ ৭ম খণ্ডে গানটি সংকলিত হয়েছে। এতে হস্তক্ষেপ আরও ব্যাপকভাবে হয়েছে, যার ফলে গানটি স্বচ্ছন্দতা হারিয়ে ফেলেছে। নিম্নে তা উদ্ধৃত হল:
প্রেম-ভুবারু বিনে কে
জানে।
প্রেমের বাতি জ্বেলে হৃদে ডোবে
গহীন।।
সামান্যে কি চিনতে পারে সেই নদীর ধারা;
বিনে হাওয়ায় মৌজ আহর্নিশে উঠে
যখন নদীর হুমা ছুটে
দেখে প্রাণ চমকে উঠে
ত্রিবেণীর
ধাক্কায় ছোটে গগনে।।
মৃত্তিকাবিহীন সরোবরে
একটি মীন আছে পড়ে
পূর্ণিমার যোগে জাগে ছোটে
কারুণ্যে তারুণ্যে এসে লাবণ্য যখন মিশে
সাধকে মীন ধরতে পারে
সেই দিনে।।
অমৃত মেঘের বারি
যে করে সাধন তারি
ভব-রোগ দূরে যাবে এড়াবে শমনে।।
লালন সাঁই বিধিমতে
চান যায় নদীর ঘাটে
পায় না
মীন উঠে ভেসেতে গুণে।।–পৃ. ৪২২
এমন বিকৃত পাঠ গ্রহণযোগ্য নয়।
Leave a Reply