পার নিৰ্হেতু সাধনা করিতে।
যাও রে ছেড়ে জরা-মৃত্যু নাই যে দেশেতে।।
নিৰ্হেতু সাধক যারা
তাদের সাধন খাঁটি জবান খারা
উপসখা কাটিয়ে তারা
চলেছে পথে৷।
মুক্তিপদ ত্যজিয়ে সদায়
ভক্তিপদ রেখ হৃদয়
শুদ্ধ প্রেমের হবে উদয়
সাঁই রাজি যাতে।
সমঝে সাধন কর তবে
এবার গেলে আর কি হবে
লালন বলে, পড়বি তবে
লক্ষ যোনিতে।।
————
৩২১. লালন ফকির; কবি ও কাব্য, পৃ. ১৮৮; লালন-গীতিকা, পৃ. ২৩-২৪ (এখানে অন্তরার ২য় চরণ “তাদের সাধন খাঁটি, করণ সারা” রূপে উল্লিখিত হয়েছে। বাংলার বাউল ও বাউল গান, পৃ. ১১৭ (এখানে উপসখা স্থলে ‘রূপের ভোল’ কথান্তর আছে)।
বাউল কবি লালন শাহ, পৃ. ২৮৯ (এখানে আভোগের ‘সাধন’ স্থলে ‘ভজন’ এবং ‘কি’ স্থলে ‘না’ কথান্তর আছে)। ‘হারামণি’ ২য় খণ্ডে অন্তরার ২য় চরণ ‘ও তার করণ খাঁটি জবান সারা’ এবং ভনিতা ‘লালন কয়, পারবি তবে লক্ষ্য জানিতে’ রূপে লেখা হয়েছে। সঞ্চারী স্তবকটি হল :
ভক্তিভাবে রেখে হৃদয়
মুক্তির পথে যাচ্ছে সদায়
তবে হয় প্রেমের উদয়
সাঁই রাজি
যাতে।। — পৃ. ৮০
Leave a Reply