শ্ৰীনিবাস আচাৰ্য (১৫১৯ — ?) চাকন্দী-নদীয়া। ‘রসভক্তিচন্দ্ৰিকা’ ও ‘দেহভেদতত্ত্বনিরুপণ’ গ্রন্থের রচয়িতা গঙ্গাদাস ভট্টাচার্য, নামান্তর চৈতন্যদাস। চৈতন্যদেবের তিরোভাবের পর বৈষ্ণবধর্মপ্রবাহ সংরক্ষকগণের মধ্যে শ্ৰীনিবাস আচার্য একজন প্ৰধান নেতা। অল্প বয়সেই তিনি নানা শাস্ত্ৰে পণ্ডিত হন। পণ্ডিত ধনঞ্জয় বিদ্যাবাচস্পতির ছাত্র ছিলেন। দীর্ঘকাল বৃন্দাবনে অবস্থান করে তিনি শ্ৰীজীব গোস্বামীর কাছে ভক্তিশাস্ত্ৰ অধ্যয়ন করে ‘আচাৰ্য’ পদবী পান। গোপালভট্ট গোস্বামীর নিকট তিনি দীক্ষা গ্ৰহণ করেন। বাঁকুড়া, বীরভূম, বর্ধমান, মেদিনীপুর, হুগলী, নদীয়া, যশোহর ও রাজশাহীতে শ্ৰীনিবাস ও নরোত্তমের চেষ্টায় ভক্তিধর্মের বিজয়ধ্বজা উড্ডীন হয়েছিল। খেতুরিতে তিনি নরোত্তম দাসঠাকুর প্রতিষ্ঠিত বিভিন্ন মূর্তির অভিষেক করেন। বিষ্ণুপুরের রাজা বীর হাম্বির তাঁর শিষ্য ছিলেন। তাঁর রচিত ‘ষডগোস্বাম্যষ্টকম’ ও ‘নরহরিঠক্কুরাষ্টকম’ থেকে অনেক তথ্য জানা যায়। তিনি কয়েকটি পদও রচনা করেছিলেন। তাঁর পুত্ৰ গতিগোবিন্দও কবি ছিলেন। শ্ৰীনিবাসের কন্যা হেমলতা ঠাকুরানী ছিলেন সাধিকা, কবি, আচার্য ও যদুনন্দন দাসের দীক্ষাগুরু। তাঁর পত্নী পদ্মাবতী (গৌরাঙ্গ প্রিয়া) শাস্ত্ৰজ্ঞানী ও সঙ্গীত পারদর্শিনী এবং বিষ্ণুপুরের বিখ্যাত সঙ্গীতজ্ঞ গোস্বামী বংশের আদিমাতা।
পূর্ববর্তী:
« শ্ৰীনাথচন্দ্ৰ প্ৰধান
« শ্ৰীনাথচন্দ্ৰ প্ৰধান
পরবর্তী:
শ্ৰীবাস দাস »
শ্ৰীবাস দাস »
Leave a Reply