শ্যামাচরণ লাহিড়ী (১৮২৮ – -২৬-৯-১৮৯৫) নদীয়া। তাঁর ধর্মনিষ্ঠ পিতা গৌরমোহন প্রতিষ্ঠিত স্বগ্রামের শিব মন্দিরের স্থানটি ঘূর্ণির শিবতলা বলে প্রসিদ্ধ। শৈশবে মাতৃবিয়োগ ঘটে এবং পিতা স্থায়িভাবে কাশীবাসী হন। বাল্যে কাশীতে নাগভট্ট নামে এক বেদবিদ ব্ৰাহ্মণের কাছে বেদ-শিক্ষার্থিরূপে থাকেন। উর্দু ভাষাও শেখেন। তাছাড়া, রাজা জয়নারায়ণ ঘোষালের স্কুলে এবং সরকারী সংস্কৃত কলেজে পড়ে বাংলা, সংস্কৃত, ফারসী ও ইংরেজী আয়ত্ত করেন। ২৩ বছর বয়সে সরকারী পূর্ত বিভাগে সাধারণ কর্মচারী হিসাবে কর্মজীবন শুরু করেন। কর্মোপলক্ষে উত্তর ভারতের নানাস্থানে ঘুরতে ঘুরতে ‘ত্ৰ্যম্বক বাবা’ বা ‘শিব বাবা’র সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎ ঘটে এবং তিনি তাঁর নিকট দীক্ষা লাভ করেন। দীক্ষান্তে যোগ-সাধনায় নিযুক্ত থাকলেও গুরুর নির্দেশে সংসারশ্রম ত্যাগ করেন নি। ১৮৮৫ খ্রী. চাকরি থেকে অবসর-গ্রহণের পর থেকে তিনি কাশীতে সিদ্ধযোগীর আচার্য জীবনের ভূমিকা পালন শুরু করেন। গৃহী ভক্ত ও শিষ্য ছাড়া তাঁর সর্বত্যাগী ব্ৰহ্মচারী এবং দণ্ডী সন্ন্যাসী শিষ্যও ছিল। কাশীতে লোক-কল্যাণকর শিক্ষাকেন্দ্ৰ স্থাপনে তিনি তৎপর ছিলেন। তাঁর শিষ্যদের মধ্যে প্রণবানন্দজী, স্বামী কেশবানন্দজী প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য। তিনি সর্বসাধারণের মধ্যে ‘কাশীর বাবা’ বা ‘যোগরাজ’ রূপে পরিচিত ছিলেন। পুত্র তিনকড়িরও যোগী হিসাবে খ্যাতি ছিল।
পূর্ববর্তী:
« শ্যামাচরণ লাহা
« শ্যামাচরণ লাহা
পরবর্তী:
শ্যামাচরণ সরকার »
শ্যামাচরণ সরকার »
Leave a Reply