সীতারাম ন্যায়াচার্য-শিরোমণি, মহামহোপাধ্যায় (১৮৬৪ — ৫-৬-১৯২৮) কাইগ্রাম-বর্ধমান। নবীনচন্দ্ৰ তর্কালঙ্কার। নবদ্বীপের ‘বঙ্গবিবুধজনীন সভা’র ন্যায়ের উপাধি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ‘তর্করত্ন’ ও ১৮৯৬ খ্রী. ঐ সভা থেকে সর্বোচ্চ উপাধি ‘ন্যায়াচাৰ্য-শিরোমণি’ লাভ করেন। এর আগেই কলিকাতা থেকে ‘তর্কতীর্থ’ উপাধি পেয়েছিলেন। কাশীতে অনেকদিন বেদান্ত অধ্যয়ন করে বিশেষ ব্যুৎপত্তি অর্জন করেন। কর্মজীবন আরম্ভ হয় মুর্শিদাবাদে ‘মুর্শিদাবাদ মঠ’ নামে (১৩০২ ব. ) তাঁরই প্রতিষ্ঠিত চতুষ্পাঠীতে। ১৩১৬ বা তিনি নবদ্বীপে যান ও দেয়ারাপাড়ার বনে চতুষ্পাঠী স্থাপন করে অধ্যাপনা শুরু করেন। এই চতুষ্পাঠী পরে ‘আরণ্যচতুষ্পাঠী’ নামে পরিচিত ও বিখ্যাত হয়েছিল। এখানে তাঁর ছাত্রদের মধ্যে কাশীবাসী মহামহোপাধ্যায় বামাচরণ ন্যায়াচার্য অন্যতম। ১৯১৩ খ্ৰী. তিনি বর্ধমানরাজ কর্তৃক ‘বিদ্বৎশোভিনী সভা’র সভ্য মনোনীত হন। ১৯২১ খ্রী. বাঙলা সরকার তাঁকে সংস্কৃত শিক্ষা-বিভাগের কার্যনির্বাহক সভার সদস্য করেন এবং ঐ বছরই তিনি ‘বঙ্গীয় বেদসভা’র সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯২২ খ্রী. থেকে আমৃত্যু কুচবিহার রাজপরিবারের সর্ববিধ মাঙ্গলিক কার্যের জন্য উপদেষ্টার পদে বৃত ছিলেন। তাঁর রচিত সংস্কৃত গ্রন্থাদির সংখ্যা প্ৰায় শতাধিক। তার মধ্যে রবীন্দ্রনাথের গীতাঞ্জলির অনুবাদ বিশেষ উল্লেখযোগ্য। বাংলা ভাষায় তাঁর রচিত গ্রন্থের নাম– ‘হরিবাসরসঙ্গীত’। ১৯২০ খ্রী. তিনি ‘মহামহোপাধ্যায়’ উপাধি লাভ করেন।
পূর্ববর্তী:
« সীতারাম দাস ওঙ্কার নাথ
« সীতারাম দাস ওঙ্কার নাথ
পরবর্তী:
সুকান্ত ভট্টাচার্য »
সুকান্ত ভট্টাচার্য »
Leave a Reply