সরযুবালা সেনগুপ্ত (১৮৯৩ — ৩০-৩-১৯৬৮) পূর্বশিমুলিয়া—ঢাকা। চন্দ্ৰকান্ত গুপ্ত। স্বামী চুনীলাল। স্বগৃহে পড়াশুনা করে প্রভূত জ্ঞান অর্জন করেন। কর্মোপলক্ষে শ্বশুর-পরিবার বরিশাল জেলার ভোলা শহরে বাস করতেন। পরে ভোলাই হয় তাদের স্থায়ী বাসস্থান। ১৯১৮ খ্রী. থেকে তিনি বহুদিন মহকুমা ‘সরোজনলিনী নারীমঙ্গল সমিতি’র সম্পাদিক থেকে জাতি-ধর্ম-নির্বিশেষে সেবাকাৰ্য চালান। ১৯২১ খ্রী. অসহযোগ আন্দোলনে যোগ দেন। ১৯৩০ খ্রী. স্বামী মহকুমা কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচিত হলে তিনি স্বামীকে যথেষ্ট সাহায্য করেন। ‘বীণাপাণি বিদ্যালয়’ ও ‘কর্মকুটির’ নামে শিল্প-প্রতিষ্ঠান এবং দূরাগত ছাত্রদের জন্য স্বল্পব্যয়ের ছাত্রাবাস স্থাপন তাঁর উল্লেখযোগ্য কাজ। ১৯৪২ খ্ৰী আন্দোলনে তিনি স্বগৃহে অন্তরীণ থাকেন। ১৯৪৩ খ্রী. মন্বন্তরে স্বামী-স্ত্রী মিলে ৩৫/৩৬টি নারী ও ১৪৩টি শিশুকে ‘কর্মকুটিরে’ তুলে নিয়ে সেবাকাৰ্য চালান। একাজে ঘরের অর্থ ও জনসাধারণের চাঁদাই তাদের সম্বল ছিল। হাসপাতাল, শিশুসদন ও শিশুদের জন্য বুনিয়াদী বিদ্যালয় স্থাপন করেছিলেন। দেশ-বিভাগের পর একান্ত অসহায় নারীদের নিয়ে তিনি মেদিনীপুরের ঝাড়গ্রামে এসে সেখানকার রাজ-এস্টেটের তৎকালীন ম্যানেজার দেবেন্দ্রমোহন ভট্টাচার্যের সহায়তায় জমি ও অর্থ সংগ্ৰহ করে আবার ‘কর্মকুটির’ স্থাপন করেন। তাঁর পরিচালনায় সেখানে শিল্প-বিদ্যালয়, বয়স্ক শিক্ষাকেন্দ্র, খাদিকেন্দ্ৰ, প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রভৃতি চলতে থাকে। ঝাড়গ্রামে মৃত্যু।
পূর্ববর্তী:
« সরযুবালা সেন
« সরযুবালা সেন
পরবর্তী:
সরযূ গুপ্তা »
সরযূ গুপ্তা »
Leave a Reply