সন্তোষকুমার বসু (১৮৮৯ — ২৮-৩-১৯৭৭) রানাঘাট-নদীয়া। রিপন কলেজে পড়ার সময়ে সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সংস্পর্শে এসে স্বদেশী আন্দোলনে যোগ দেন। এন্টি সাকুলার সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা-সভ্য ও সুরেন্দ্রনাথের সভাপতিত্বে ছাত্র-যুবক সংগঠনের সক্রিয় সদস্য ছিলেন। প্রেসিডেন্সী কলেজ থেকে এম.এ. ও কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন পাশ করে কিছুদিন নাগপুরের এক কলেজে ইংরেজীর অধ্যাপক ছিলেন। ১৯১৪ খ্রী. কলিকাতা হাইকোর্টে ওকালতি শুরু করেন। ফৌজদারী মামলার আইনজ্ঞ হিসাবে তাঁর খ্যাতি ছিল। ঐ সময়কার অনেক রাজনৈতিক মামলাও পরিচালনা করেন। ১৯২৪ খ্রী. থেকে দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জনের প্রভাবে কলিকাতা করপোরেশনে বহু দায়িত্বপূর্ণ কাজ গ্রহণ করেন। চিত্তরঞ্জনের মৃত্যুর পর কর্পোরেশনে কংগ্রেস দলের নেতা নির্বাচিত হন। ১৯৩১ খ্রী. কলিকাতা কর্পোরেশনের ডেপুটী মেয়র ও ১৯৩৩ খ্রী. মেয়র হন। বঙ্গীয় আইন সভায় কিছুদিন স্বরাজ্য দলের সদস্য এবং ফজলুল হকের তৃতীয় কোয়ালিশন মন্ত্রিসভায় ১৯৪১–৪৩ খ্রী. জনস্বাস্থ্য, স্থানীয় স্বায়ত্তশাসন ও বেসরকারী প্রতিরক্ষা-মন্ত্রী ছিলেন। বহুদিন বঙ্গীয় প্রাদেশিক কংগ্রেস কমিটির কার্যকরী সমিতির সদস্য-পদে থাকেন। দেশ স্বাধীন হবার পর ১৯৪৮–১৯৫০ খ্রী. ঢাকায় পাকিস্তানের ডেপুটি হাই-কমিশনার পদে নিযুক্ত ছিলেন। ১৯৫৩ ও ১৯৫৪ খ্রী. মধ্যশিক্ষা পৰ্যদের সদস্য নির্বাচিত হন। দুবার তিনি রাজ্য সভার সদস্য হয়েছিলেন। রচিত গ্রন্থ: ‘পৌর প্রতিষ্ঠানে সুভাষচন্দ্র’, ‘Diplomacythrough Ages’, ‘Reminiscences of Congress Session’ প্রভৃতি।
পূর্ববর্তী:
« সন্তোষকুমার ঘোষ
« সন্তোষকুমার ঘোষ
পরবর্তী:
সন্তোষকুমার মিত্র »
সন্তোষকুমার মিত্র »
Leave a Reply