সত্যেন্দ্ৰচন্দ্র বর্ধন (? — ১০-৯-১৯৪৩) বিটঘর-ত্রিপুরা। দীনেশচন্দ্র। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় সুদূর প্রাচ্যের ইণ্ডিয়ান ইন্ডিপেন্ডেন্স লীগ ভারতের অভ্যন্তরে যুদ্ধের সুযোগে বিপ্লব সংঘটনের জন্য ১৪ জন ভারতবাসীকে ৪ টি দলে গোপনে প্রেরণ করেন। প্ৰথম দল কালিকটের উপকূলে অবতীর্ণ হয়। দ্বিতীয় দলের ৫ জনের অন্যতম ছিলেন তিনি। সাবমেরিনযোগে তারা কাথিয়াওয়ার উপকূলে পৌঁছান। তীরে পৌঁছে নিরাপদ আবাসে আশ্রয় নেবার পূর্বেই ট্রান্সমিটার যন্ত্রসহ তিনি গ্রেপ্তার হন। দলের বাকী কয়েকজন স্থলপথে চট্টগ্রামের দিক দিয়ে ভারতে প্রবেশ করেন। ভারতের পূর্ব-পশ্চিমে এই অনুপ্ৰবেশকারী স্বাধীনতাকামী যোদ্ধাগণের অনেকেই গ্রেপ্তার হয়ে মাদ্রাজ দুর্গে বন্দী হন। সম্রাটের বিরুদ্ধে যুদ্ধের ষড়যন্ত্রকারিরূপে ৮৩-১৯৪৩ খ্ৰী. বিচার শুরু হয় এবং আরও ৪ জনের সঙ্গে তিনি প্ৰাণদণ্ডে দণ্ডিত হন। যতদূর জানা যায় তিনি মালয়ে ডাক ও তার বিভাগের কর্মী ছিলেন। জাপানী অভিযানের পর কর্মচ্যুত অবস্থায় পড়েন ও প্রথম সুযোগেই ‘ইণ্ডিয়ান ইন্ডিপেন্ডেন্স লীগ’-এ যোগ দেন। পেনাং-এ যুদ্ধবিদ্যা শেখেন। আজাদ হিন্দ ফৌজ গঠিত হলে তাতে যোগ দিয়ে বেতারে সংবাদ-প্রেরণ বিষয়ে শিক্ষাপ্রাপ্ত হন। মৃত্যুর পূর্বে শেষপত্রে জানান, ‘আমার বলার বা লেখার কিছু নেই। মাতৃভূমি বেদিকায় প্রাণ বিসর্জন করতে পেরে গর্বিত। যদি কোন সুযোগ আসে—প্রতিশোধ নেওয়া হবে, এই আশা করি। বাঙ্গালী হিসাবে দেশের জন্য প্ৰাণ বিসর্জন দেওয়াই স্বাভাবিক।’
পূর্ববর্তী:
« সত্যেন্দ্রনাথ রায়
« সত্যেন্দ্রনাথ রায়
পরবর্তী:
সত্যেন্দ্ৰচন্দ্ৰ মিত্র »
সত্যেন্দ্ৰচন্দ্ৰ মিত্র »
Leave a Reply