সতীশচন্দ্ৰ মুখোপাধ্যায় ১ (৫-৬-১৮৬৫ –- ১৮-৪-১৯৪৮) বন্দিপুর-হুগলী। কৃষ্ণনাথ। সাউথ সুবারবন স্কুল থেকে ১৮৭৯ খ্রী. এন্ট্রান্স এবং ১৮৮৪ খ্ৰী সরকারী বৃত্তি নিয়ে প্রেসিডেন্সী কলেজ থেকে বি.এ. পাশ করেন। স্কুলে আশুতোষ মুখোপাধ্যায় তাঁর সহপাঠী ছিলেন। ১৮৮৬ খ্রী. ইংরেজীতে এম. এ পাশ করে শিক্ষকতা দিয়ে কর্মজীবন শুরু করেন। পরে আইন পাশ করে কলিকাতা হাইকোর্টের উকিল হন। ১৮৯৫–খ্রী. তিনি ‘ভাগবত চতুষ্পাঠী’ প্রতিষ্ঠা করেন। ১৮৯৭ খ্ৰী ‘ডন’ পত্রিকা প্রকাশ করে তার সম্পাদকরূপে তিনি ১৯১৩ খ্রী. পর্যন্ত যুবক ও ছাত্রদের মধ্যে জাতীয়তাবাদ প্রচার করেন। ভারতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কমিশনের রিপোর্টের প্রতিবাদে গঠিত ‘ডন সোসাইটি’র (১৯০২) তিনি সম্পাদক ছিলেন। বিদেশীবর্জন এবং দেশী শিল্পের পুনরুজ্জীবনের চেষ্টায় ‘ডন সোসাইটি’ স্বদেশী আন্দোলনের একটি প্রধান প্রাণকেন্দ্র ছিল। ‘বন্দেমাতরম’ দৈনিক পত্রিকার সঙ্গেও তার যোগ ছিল। ১৯০৬ খ্রী. জাতীয় শিক্ষা পরিষদ গঠিত হলে তিনি তাঁর প্রথম তত্ত্বাবধায়ক হন। তাঁর পরিচালনাধীনে বাঙলাদেশে অসংখ্য জাতীয় বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। শ্ৰীঅরবিন্দ তাঁর সম্বন্ধে বলেছেন, “the man who really organized the National College at Calcutta and has given his life to that work”। শ্রীঅরবিন্দের পর তিনি কলেজের অধ্যক্ষ হন (১৯০৭-০৮)। ১৯১৪ খ্রী থেকে শেষ-জীবন তিনি কাশীতে কাটান। ১৯২২ খ্রী. অহিংস আন্দোলন পরিচালনায় গান্ধীজী গ্রেপ্তার হলে তিনি সবরমতীতে গিয়ে কিছুদিন ‘Young India’ পত্রিকা প্ৰকাশনে সাহায্য করেছিলেন।
সতীশচন্দ্ৰ মুখোপাধ্যায় ২ (চৈত্র ১২৭৬ — অগ্রহায়ণ ১৩২২ বঙ্গাব্দ) চৌহট্টা-বীরভূম। পদকর্তা। তাঁর শ্যাম ও শ্যামা পদগুলি ভাবসম্পদে সমৃদ্ধ। বলা হয়, তিনি একাধারে ‘ঘোর শাক্ত, পরম বৈষ্ণব এবং ভক্ত শৈব’। চৌহট্টা গ্রামের পশ্চিমে চন্দ্রচূড় মন্দির ছিল সাধনক্ষেত্র। একখানি পদের একটি ছত্রে আছে ‘মোর রচিত পদ সারে চারিশত’। কিন্তু সংগ্ৰহ করা গেছে মাত্র ১২৬টি।
সতীশচন্দ্ৰ মুখোপাধ্যায় ৩ (১৮৯১ — ১৯৪৪) কলিকাতা। বসুমতী সাহিত্য মন্দিরের সত্ত্বাধিকারী ও রূপকার। দেশীয় সংবাদপত্রের ইতিহাসে একটি বিশিষ্ট নাম। কালজয়ী বাংলা সাহিত্য সুলভ মূল্যে প্রচার করেছিলেন।
পূর্ববর্তী:
« সতীশচন্দ্ৰ মিত্র
« সতীশচন্দ্ৰ মিত্র
পরবর্তী:
সতীশচন্দ্ৰ সাঁতরা »
সতীশচন্দ্ৰ সাঁতরা »
Leave a Reply