সতীশচন্দ্ৰ পাকড়াশী (১৮৯৩ — ৩০-১২-১৯৭৩) মাধবদি–ঢাকা। জগদীশচন্দ্ৰ। ছাত্রাবস্থায় ত্ৰৈলোক্যনাথ চক্রবর্তীর সংস্পর্শে এসে ১৯০৮ খ্রী. মাত্র ১৪ বছর বয়সে গুপ্ত বিপ্লবীদল অনুশীলন সমিতিতে যোগ দেন। ১৯১১ খ্রী. ম্যাট্রিক পাশ করেন এবং ঐ বছরই অস্ত্ৰ আইনে সশ্রম কারাদণ্ড ভোগ করেন। ১৯১৭ খ্রী. ঢাকায় পুলিসী দমন-নীতি প্রবল হলে নলিনী বাগচী ও কয়েকজন সহকর্মী সহ তিনি গৌহাটিতে সমিতির কেন্দ্ৰে চলে যান এবং সেখান থেকেই তাঁরা সারা বাঙলাদেশে সংগঠন পরিচালনা করতে থাকেন। ঐ সময়ে একবার পুলিস তাঁদের গোপন আস্তানা ঘিরে ফেললে তারা ৭ জন নিকটবর্তী পাহাড়ে পালিয়ে যান এবং রিভলবার ও পিস্তল নিয়ে পুলিসের সঙ্গে যুদ্ধ করেন। এ যুদ্ধে ৫ জন বিপ্লবী ধরা পড়েন। তিনি ও নলিনী বাগচী সকলের অলক্ষ্যে সরে পড়েন এবং হেঁটে কলিকাতায় আসেন। ১৯২৯ খ্রী. মেছুয়াবাজার বোমা মামলায় গ্রেপ্তার হন। ১৯৩৩ খ্রী. থেকে ৬ বছর আন্দামান জেলে আটক থাকেন। এই সময়ে তিনি কমিউনিস্ট দর্শনে বিশ্বাসী হন এবং কারামুক্তির পর ১৯৩৮ খ্রী. ভারতের কমিউনিস্ট পার্টিতে যোগ দেন। ১৯৬৪ খ্রী. কমিউনিস্ট পার্টি বিভক্ত হলে তিনি মার্কসবাদী কমিউনিস্ট দলের সঙ্গে থাকেন এবং পার্টির রাজ্য কমিটির সদস্য নির্বাচিত হন। তাঁর সংগ্ৰামী জীবনের মধ্যে ৩২ বছর কারাবাসে কেটেছে। ১১ বছর আত্মগোপন করে ছিলেন। রচিত গ্ৰন্থ : ‘অগ্নিযুগের কথা’। তাছাড়া ‘স্বাধীনতা’ এবং ‘অনুশীলন’ পত্রিকায় তাঁর বহু রচনা ছড়িয়ে আছে। বাঙলাদেশ শহীদ গ্ৰীতি সমিতির সভাপতি ছিলেন।
পূর্ববর্তী:
« সতীশচন্দ্ৰ দে
« সতীশচন্দ্ৰ দে
পরবর্তী:
সতীশচন্দ্ৰ বসু »
সতীশচন্দ্ৰ বসু »
Leave a Reply