সতীশচন্দ্ৰ চক্রবর্তী (১৮৯১ -– ১৪-১০-১৯৬৮) রাড়ুলি—খুলনা। ছত্রনাথ। ১৯১০ খ্রী. গ্রামের স্কুল থেকে প্রবেশিকা, দৌলতপুর কলেজ থেকে আই. এ. (১৯১২) ও বি.এ. পাশ করে ১৯১৪ খ্রী. কলিকাতায় এম.এ. পড়তে আসেন। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় বিপ্লবী অভ্যুত্থানের সঙ্গে যুক্ত হন এবং কখনও মেদিনীপুর, কখনও বাঁকুড়ায় সংগঠনের কাজ করেন। ৯-৯-১৯১৫ খ্রী বালেশ্বরের যুদ্ধে বাঘা যতীনের মৃত্যুর পর ইন্দো-জার্মান ষড়যন্ত্রের যে কয়জন বিপ্লবী নেতা আত্মগোপন করেন, তিনি তাদের অন্যতম। এসময়ে একবার পুলিস-বেষ্টনী ভেদ করতে অপারগ হয়ে তিনি আত্মসমৰ্পন না করে পটাসিয়াম সায়নাইড খান। মৃত্যু না হলেও তাতে তাঁর বলিষ্ঠ স্বাস্থ্য ভেঙ্গে পড়ে। বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপন করে কাটান। ১৯২৪ খ্রী. ৩ আইনে বন্দী হন এবং ১৯২৮ খ্ৰী. ব্ৰহ্মের জেল থেকে মুক্তি পান। পরে কংগ্রেস সংগঠনে উদ্যোগী হন এবং সুভাষচন্দ্ৰকে নেতৃপদে বসাতে সহায়তা করেন। ১৯৩০ খ্রী. আইন অমান্য আন্দোলনের আগেই তিনি সারা ভারতে একটি গুপ্ত যোগাযোগ ব্যবস্থা তৈরী করেছিলেন। আইন অমান্য আন্দোলনের সময় জাতীয় কংগ্রেস বে-আইনী ঘোষিত হলেও এই ব্যবস্থায় নেতাদের নির্দেশ-প্রেরণ সম্ভব হয়েছিল। ১৯৪৭ খ্রী. দেশবিভাগের পর তিনি পশ্চিমবঙ্গে চলে আসেন। দরিদ্র উদ্বাস্তুরূপে অজ্ঞাত অবস্থায় এই বিপ্লবীর মৃত্যু হয়।
পূর্ববর্তী:
« সতীশচন্দ্ৰ গুহঠাকুরতা
« সতীশচন্দ্ৰ গুহঠাকুরতা
পরবর্তী:
সতীশচন্দ্ৰ চৌধুরী »
সতীশচন্দ্ৰ চৌধুরী »
Leave a Reply