সতীশচন্দ্ৰ আচাৰ্য বিদ্যাভূষণ, মহামহোপাধ্যায় (৩০-৭-১৮৭০ — ২৫-৪-১৯২০) নবদ্বীপ। জ্যোতিষশাস্ত্ৰজ্ঞ পিতাম্বর বিদ্যাবাগীশ। মাইনর পরীক্ষায় নদীয়া বিভাগে বৃত্তিসহ সর্বোচ্চ স্থান অধিকার করেন ও নবদ্বীপ হিন্দু স্কুলে ভর্তি হন। এখান থেকে বৃত্তিসমেত এন্ট্রান্স এবং কৃষ্ণনগর কলেজ থেকে বি.এ. পরীক্ষায় বাঙলাদেশের মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করে সুবর্ণপদক প্রাপ্ত হন। ১৮৯৩ খ্রী. সংস্কৃত কলেজ থেকে সংস্কৃতে এম.এ. পাশ করেন। এরপর ব্যাকরণ, দর্শন, স্মৃতি ও বেদাদি পড়েন। এছাড়াও নবদ্বীপ বিদগ্ধ জননী সভার পরীক্ষায় প্রথম বিভাগে পাশ করে (১৮৯৩) ‘বিদ্যাভূষণ’ উপাধি পান এবং কৃষ্ণনগর কলেজে সংস্কৃতের প্রধান অধ্যাপক হন। পালি ভাষার চর্চা এবং বৌদ্ধশাস্ত্ৰও অধ্য্যন করেন। সরকার কর্তৃক ‘Buddhist Text Society’র সহযোগী সম্পাদক নিযুক্ত হন। এই পদে ২২ বছর অধিষ্ঠিত ছিলেন এবং এই সময় পালি ভাষায় বহু গ্ৰন্থ রচনা করেন। ১৮৯৭ খ্রী. সরকার কর্তৃক সহকারী তিব্বতীয় অনুবাদকের পদে নিযুক্ত হয়ে রায়বাহাদুর শরচ্চন্দ্ৰ দাসের সঙ্গে তিব্বতীয় বৌদ্ধ ও সংস্কৃত অভিধান প্রণয়নের ভার নেন। ১৯০০ খ্রী. কলিকাতা সংস্কৃত কলেজে সংস্কৃতের অধ্যাপক নিযুক্ত হন। ১৯০১ খ্রী. ভারতবর্ষে সর্বপ্রথম পালি ভাষায় এম.এ. পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে স্বর্ণপদক লাভ করেন। ১৯০২ খ্রী. মার্চ মাসে বদলী হয়ে কলিকাতা প্রেসিডেন্সী কলেজের অধ্যাপক হন। এইসময়ে ফরাসী ও জার্মান ভাষা শেখেন। ১৯০৬ খ্ৰী. ‘মহামহোপাধ্যায়’ ও ১৯০৮ খ্রী ‘Middle Age school of Indian Logic’ নামে প্রবন্ধ লিখে ‘পি-এইচ.ডি.’, ১৯১৩ খ্রী. সিদ্ধান্ত মহাবোধি’ এবং বৌদ্ধ-সাহিত্যে পাণ্ডিত্যের জন্য ‘ত্রিপিটক বাগীশ্বর’ উপাধি পান। তিনিই কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ডক্টরেট। বহু প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তাঁর রচিত উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ: ‘আত্মতত্ত্বপ্রকাশ’, ‘পালি ব্যাকরণ’, ন্যায়দর্শনের ইংরেজী অনুবাদ, ‘বুদ্ধদেব’, ‘এ হিস্ট্রি অফ ইন্ডিয়ান লজিক’ প্রভৃতি।
পূর্ববর্তী:
« সতীশচন্দ্র সর্দার
« সতীশচন্দ্র সর্দার
পরবর্তী:
সতীশচন্দ্ৰ কুম্ভকার »
সতীশচন্দ্ৰ কুম্ভকার »
Leave a Reply