শিশিরকুমার সেন (১৮৯৬ — ১২-১০-১৯৭৮)। নদীয়ার সাহেবনগরের সর্বোদয় সেবক। স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় দেশসেবার প্রেরণায় বিড়লা কোম্পানীর চাকরি ছেড়ে সস্ত্রীক গান্ধীজী প্ৰদৰ্শিত পথে গঠনমূলক গ্ৰামসেবায় আত্মনিয়োগ করেন। ১৯৪২-এর আন্দোলনে ডায়মণ্ডহারবার খাদি-মন্দিরের অধিকাংশ কর্মী যখন কারারুদ্ধ, তখন তিনি ও তাঁর স্ত্রী (কবি, লেখিকা, সর্বোদয় সেবিকা নিরূপমা দেবী) ডায়মন্ডহারবার খাদি মন্দিরের মধুসূদনপুর আশ্রমে এসে বসবাস শুরু করেন এবং ১৯৪৩ খ্রী. দুর্ভিক্ষের সময় ঐ অঞ্চলের দুর্গত অধিবাসীদের সর্বতোভাবে সেবা করেন। ব্ৰাহ্মসমাজভুক্ত ছিলেন। তাঁর চেষ্টায় এই সেবাকার্যে মধুসূদনপুর কেন্দ্রের ব্রাহ্মসমাজ সক্রিয় হয়ে উঠেছিল। এরপর সাহেবনগরে কেন্দ্ৰ স্থাপন করে তাঁর মাধ্যমে গঠনমূলক কাজ করতেন। নিরুপমা দেবীর পরিচালনায় সেখানে কস্তুরবা ট্রেনিং কলেজ চলত। ১৯৫৫ খ্রী. তিনি নদীয়া জেলায় ভূদান-যজ্ঞ-পদযাত্রা করেন এবং তখন থেকে ভূদান-গ্রামদানের কাজ করে আসছিলেন। ‘সর্বোদয় প্ৰকাশন মণ্ডল’ সংস্থা গঠন করে তিনিই প্ৰথম বাংলায় সর্বোদয় সাহিত্য প্রচারের ব্যবস্থা করেন।
পূর্ববর্তী:
« শিশিরকুমার মিত্র
« শিশিরকুমার মিত্র
পরবর্তী:
শিশিরচন্দ্ৰ বসু »
শিশিরচন্দ্ৰ বসু »
Leave a Reply