শিশিরকুমার মিত্র ১ (১৮৯১ — ১৩-৮-১৯৬৩)। বিশিষ্ট পদার্থবিজ্ঞানী এবং আয়ন মণ্ডলীয় গবেষণার অন্যতম পথিকৃৎ। ১৯১০ খ্ৰী. পদার্থবিদ্যায় প্রথম শ্রেণীতে প্ৰথম হয়ে এমএস-সি পাশ করেন। ১৯২০ খ্রী. রেডিও ফিজিক্সে ডিএস-সি হন। কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি পদার্থবিজ্ঞানের অধ্যাপক এবং অবসর গ্রহণের সময় পদার্থবিজ্ঞানের রাসবিহারী ঘোষ অধ্যাপক ছিলেন। ভারতবর্ষে বেতার-সম্পর্কিত গবেষণার অগ্রদূত। ১৯৪৪ খ্রী. ভারতীয় বৈজ্ঞানিক প্ৰতিনিধি দলের অন্যতম হিসাবে ইংল্যান্ড ও আমেরিকা যান। ১৯৫৮ খ্রী. ইংল্যান্ডের রয়্যাল সোসাইটির সদস্য (F.R.S. ) এবং ১৯৬২ খ্রী. ‘জাতীয় অধ্যাপক’ নির্বাচিত হন। ১৯৪২ খ্রী. রোটারি ক্লাবের কলিকাতা শাখার, ১৯৫১–৫৩ খ্রী. এশিয়াটিক সোসাইটির ও ১৯৫৪ — ৫৫ খ্রী. ভারতীয় বিজ্ঞান কংগ্রেসের সভাপতি-পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন।
শিশিরকুমার মিত্র ২ (১৯০১ — ডিসে ১৯৭৬) কোন্নগর–হুগলী। কৃষ্ণচন্দ্ৰ। মাতা ভানুমতী দেবী স্বামীর মৃত্যুর পর দক্ষিণেশ্বরে আদ্যাপীঠে সন্ন্যাস গ্রহণ করেন। শিশিরকুমার শ্রীরামপুর কলেজে পড়ার সময় ১৯২০ খ্রী. অসহযোগ আন্দোলনে সাড়া দিয়ে আইএ পরীক্ষায় বসেন নি। এরপর দশ বছর চাকরি-রত অবস্থায় অনেক পড়াশুনা করেন। এক সময় গৌড়ীয় সর্ববিদ্যায়তনে (Bengal National University) যোগদান করে ভারতীয় চিত্ৰকলা ও সংস্কৃতি-বিষয়ক পাঠক্রম গ্ৰহণ করেন। ১৯২৬ খ্রী. থেকে নানা পত্রিকায় শিল্পসম্বন্ধে প্ৰবন্ধ লিখে পরিচিত হন। ১৯৩১ খ্রী. শান্তিনিকেতনে ইতিহাসের অধ্যাপক হিসাবে কাজে যোগ দেন। ১৯৪০ খ্রী পণ্ডিচেরীতে এসে স্থায়িভাবে বাস করতে থাকেন। শ্ৰীমায়ের নির্দেশে আশ্রম স্কুল গঠন করে বহু বছর তার পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন। শ্ৰীমা তাকে ‘অরবিন্দ আন্তর্জাতিক শিক্ষাকেন্দ্রে’র সহযোগী ডিরেক্টর ও পরে ডিন অব আর্টস পদে নিযুক্ত করেন। তাছাড়া তিনি ইতিহাসের অধ্যাপক ছিলেন। রচিত গ্রন্থ: ‘The Dawn Eternal’, ‘The Liberator’, ‘The Vision of India’. ‘Cultural Fellowship of Bengal’, ‘Sri Aurobindo and the New World’ প্রভৃতি।
পূর্ববর্তী:
« শিশিরকুমার ভাদুড়ী, নাট্যাচাৰ্য
« শিশিরকুমার ভাদুড়ী, নাট্যাচাৰ্য
পরবর্তী:
শিশিরকুমার সেন »
শিশিরকুমার সেন »
Leave a Reply