শাহেদ সোহরাবর্দী (২৪-১০-১৮৯০ — ৩-৩-১৯৬৫) মেদিনীপুর। পিতা জাহেদ সোহরাবর্দী কলিকাতা হাইকোর্টের ব্যবহারজীবী ও পরে বিচারপতি ছিলেন। তিনি ১৯১২ খ্রী. অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে থেকে স্নাতক হয়ে রাশিয়ায় যান এবং ১৯১৭ খ্রী. মস্কো বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজী ভাষার অধ্যাপক নিযুক্ত হন। এই সময়ে মস্কোর সুবিখ্যাত আর্ট থিয়েটারের অন্যতম শিল্প-নির্দেশক ছিলেন। ১৯২০ খ্রী. ইউরোপ ও আমেরিকার নানা দেশ ভ্ৰমণ করে প্যারিসে এসে ১৯৩১ খ্ৰী. পর্যন্ত সেখানে বাস করেন। প্যারিসে অবস্থিত। জাতিসঙ্ঘ (লীগ অব নেশনস) পরিচালিত আন্তর্জাতিক সংস্কৃতি বিনিময় কেন্দ্রের ললিতকলা শাখার উপদেষ্টার পদে কিছুদিন কর্মরত ছিলেন। দেশে ফিরে ১৯৩২ খ্ৰী. থেকে ১৯৪৩ খ্ৰী. পর্যন্ত কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিল্পকলা-বিষয়ক বাগীশ্বরী অধ্যাপকের পদ অলংকৃত করেন। এই সময়ের মধ্যে কিছুদিন তিনি ইসলামীয় সংস্কৃতির অধ্যাপকরূপে বিশ্বভারতীর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিলেন। ১৯৪৩ খ্রী. থেকে ১৯৪৭ খ্রী. অবিভক্ত বাঙলার পাবলিক সার্ভিস কমিশনের অন্যতম সদস্য ছিলেন। ১৯৪৮ খ্ৰী. নবসৃষ্ট পাকিস্তানের রাজধানী করাচিতে চলে যান এবং সেখানের পাবলিক সার্ভিস কমিশনের সদস্য নিযুক্ত হন। পরে এই সংস্থার সভাপতি-পদ লাভ করেন। ১৯৫২ খ্রী. তিনি আমেরিকার কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রাচ্যদেশীয় শিল্পকলার অধ্যাপক নিযুক্ত হন। স্পেন, মরক্কো, টুনিসিয়া প্রভৃতি দেশে রাষ্ট্রদূতের পদে নিযুক্ত থেকে ১৯৫৯ খ্রী. তিনি দেশে ফিরে করাচীতে অবসর-জীবন যাপন করেন। প্ৰাচ্য ও প্ৰতীচ্য বহু ভাষায় তাঁর দক্ষতা ছিল। ইংরেজী ভাষায় কবিতা ও প্ৰবন্ধ রচনা করে খ্যাতি অর্জন করেন। রচিত গ্রন্থ: ‘Mussalman Culture’, ‘Mussalman Art in Spain’ প্রভৃতি। অকৃতদার ছিলেন। স্বাধীনতা লাভের প্রাক্কালে অবিভক্ত বাঙলার মুখ্যমন্ত্রী হোসেন শহীদ সোহরাবর্দী তাঁর অনুজ।
পূর্ববর্তী:
« শাহাদাৎ হোসেন
« শাহাদাৎ হোসেন
পরবর্তী:
শাহ্ আহসান উল্লাহ »
শাহ্ আহসান উল্লাহ »
Leave a Reply